রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ফুটপাতের দোকানের চাঁদা তোলা নিয়ে দ্বন্দ্বে আওয়ামী লীগ নেতা আবু বক্কর সিদ্দিক হাবুকে খুন করা হয়। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।

তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এবং হাবু হত্যা মামলার প্রধান আসামি মুশফিকুর রহমান ফাহিমকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। গ্রেপ্তার ফাহিম যাত্রাবাড়ী থানা যুবদলের সহ-সভাপতি। বুধবার রাজধানীর শাহবাগ থানাধীন শিক্ষা ভবন ক্রসিং এলাকা থেকে ফাহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
 
সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, গ্রেপ্তার আসামি ফাহিম যাত্রাবাড়ী এলাকায় ফুটপাতসহ বিভিন্ন দোকান পাটে চাঁদাবাজি করতেন। এ চাঁদা তোলা নিয়ে হাবু আর ফাহিমের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। ওই দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে হাবুকে হত্যার পরিকল্পনা করে ফাহিম।

হত্যার দিনের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ১৬ আগস্ট সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী আওয়ামী লীগ নেতা আবু বক্কর সিদ্দিক হাবু যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক রোড নিরালা হার্ডওয়্যারের সামনে পৌঁছালে ফাহিম ও তার সহযোগীরা তাকে ঘিরে ধরেন। পরে তারা ছুরি, চাপাতি ও সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে হাবুর ওপরে হামলা চালান। 

ছুরিকাঘাতে হাবু পেটের ডান পাশে মারাত্মক আঘাত পান। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা। ঘটনার পর দিন ভিকটিমের পরিবার যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

ফাহিমকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে ডিবি প্রধান বলেন, হাবুর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক ও এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ফাহিমের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এ ছাড়া, ফুটপাতের চাঁদা ও ডিস ক্যাবলের ব্যবসা নিয়েও তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। আর এসব দ্বন্দ্বের কারণে ফাহিম পরিকল্পনামতো হাবুকে হত্যা করে।

রিমান্ড চেয়ে ফাহিমকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করা হবে এ হত্যায় আর কে কে জড়িত। এসব তথ্য পাওয়ার পর সে অনুযায়ী আমরা পরবর্তী আইনের প্রক্রিয়া নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এমএসি/আরএইচ