মাদারীপুর জেলার কালকিনির কালাই সর্দারচর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে সাতজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছে। 

শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজ শেষে সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে সাতজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। 

আহতরা হলেন, জলিল হাওলাদার (৪০), শুক্কুর বেপারী (৬০), আবুল কালাম (৫০), জামাল (৪০), মিরাজ হাওলাদার (৩৫), পলিন (৩৫) ও আব্দুর রব বেপারী (৭০)।

আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা সিরাজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি ঢাকা পোস্টকে বলেন, মাদারীপুরের কালকিনির কালাই সর্দারচর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একই এলাকার আব্দুল্লাহ গ্রুপ ও দুলাল গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। 

এ সময় ককটেল বিস্ফোরণে উভয় গ্রুপের সাতজন আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছে। চিকিৎসক বলছেন, আহতদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

কালকিনি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নয়ন মিয়া জানান, দুপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। পরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আহত সাতজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, মাদারীপুরের কালকিনি থেকে ককটেল বিস্ফোরণে আহত সাতজনকে এখানে আনা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। 

এসএএ/আরএইচ