সাংস্কৃতিক এবং ক্রীড়া ও যুব উন্নয়ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা সম্প্রসারণে একযোগে কাজ করবে স্পেন ও বাংলাদেশ। এ ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে বর্তমানে বিবেচনাধীন ও বিনিময় করা সাংস্কৃতিক সহযোগিতা চুক্তি এবং ক্রীড়া সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারকের খসড়া দুটি চূড়ান্ত করার জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দেশটিকে অনুরোধ করা হয়।

স্পেনের বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ বুধবার স্পেনের সংস্কৃতি ও ক্রীড়ামন্ত্রী মিক্যুয়েল অক্টাভি ইসেটা ই লরেন্সের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিষয়টি আলোচনা করেন।

দূতাবাস জানায়, সাংস্কৃতিক সহযোগিতা চুক্তি এবং ক্রীড়া সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা অদূর ভবিষ্যতে স্বাক্ষরিত হবে। স্পেনের সংস্কৃতি ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত বৈঠকে রাষ্ট্রদূত বলেন, স্পেন বাংলাদেশের চতুর্থ বৃহত্তম রপ্তানি-গন্তব্য। এ বছর দুই দেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে। বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাষ্ট্রনায়কোচিত অনন্যসাধারণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ তার আর্থসামাজিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, গতানুগতিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছাড়াও বহুমাত্রিক সৃজনশীল বিবিধ অঙ্গনে স্পেন-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের অবারিত সম্ভাবনা রয়েছে। সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সহযোগিতা আন্তঃরাষ্ট্রীয় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক সংহতকরণে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করে। নিজেদের সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক ঐশ্বর্য বিনিময়ের মাধ্যমে জনপরিসরে স্পেন ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক নৈকট্য আরও নিবিড় হবে।

রাষ্ট্রদূত অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি মিয়ানমারে গণহত্যার শিকার জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে স্পেন সরকারের সহযোগিতা ও সমর্থন জোরদারের জন্য স্পেনীয় মন্ত্রীকে অনুরোধ জানান। স্পেনীয় সংস্কৃতি ও ক্রীড়ামন্ত্রী রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ঐকমত্য পোষণপূর্বক একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

এসময় তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। রাষ্ট্রদূত পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের জন্য স্পেনীয় সংস্কৃতি ও ক্রীড়ামন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান।

এনআই/এসএসএইচ