বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে হাজার হাজার মানুষ খুন, গুম, ধর্ষণ, বোমা হামলা ও নির্যাতনের বিচারের দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদী সমাবেশ ‌‘মায়ের কান্না’ ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী চলছে।

রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে। এরপর সমাবেশ হবে। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।

অনুষ্ঠান স্থলের মূল মঞ্চের পেছনেই প্রদর্শিত হচ্ছে বিভিন্ন চিত্র। সেখানে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটার বিহীন ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে ১৯৭৫ এর আত্মস্বীকৃত খুনিদের নিয়ে জাতীয় সংসদে নিয়ে আসেন বেগম জিয়া। তৎকালীন জাতীয় পত্রিকায় ছাত্রদলের তাণ্ডবের চিত্র, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকাসহ দেশের ৩০০ স্থানে ৫০০ সিরিজ বোমা হামলা হয়। আধাঘণ্টার ব্যবধানে চালানো এ সিরিজ বোমা হামলায় দুজন নিহত ও দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছিলেন। বিএনপি-জামায়াতের ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সময়ে মোট এক হাজার ১৫৭ জন বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন। জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসনের সময় বিনা বিচারে হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা, সামরিক অফিসার ও সৈনিক হত্যার কথা উল্লেখ করে তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে সমাবেশ স্থলে।

এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের পক্ষ থেকে চার দফা দাবি জানানো হয় সমাবেশ থেকে। এগুলো হচ্ছে- বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসনামলে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সারাদেশে একযোগে বোমা হামলা, অগ্নি সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি, খুন, ধর্ষণ ও নির্যাতনের সঙ্গে জড়িতদেরকে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার করতে হবে।

১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা সামরিক কর্মকর্তা ও সৈনিক হত্যার অপরাধে জিয়ার মরণোত্তর বিচার করতে হবে।

মানবাধিকার লঙ্ঘন করে আন্দোলনের নামে সমগ্র দেশে আগুন দিয়ে হাজার হাজার মানুষ পুড়িয়ে হত্যা, খুন, ধর্ষণ ও নির্যাতনের অপরাধে বিএনপির রাজনীতি স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধসহ রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে।

জঙ্গিবাদ, অগ্নি সন্ত্রাস, দুর্নীতি, ধর্ষণ ও বোমা হামলার মদদদাতা বিদেশে পলাতক আসামি তারেক রহমানকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করতে হবে।

সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আমানুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক আল মামুনসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত আছেন।

এএসএস/ওএফ