চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় অবৈধভাবে দখল করে রাখা প্রায় ৩১০০ জমি উদ্ধার করেছে জেলা প্রশাসন। এসব জমি, ওই এলাকার পরিবেশ, প্রতিবেশের ভারসাম্য ও জীববৈচিত্র রক্ষায় বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর (সোমবার) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ের একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, আমরা জঙ্গল সলিমপুর এলাকার বেহাত হয়ে যাওয়া প্রায় ৩১০০ একর খাস জমি উদ্ধার করেছি। বেহাত হওয়া খাস জমি ভূমিদস্যুরা সাধারণ মানুষের কাছে প্লট অনুযায়ী দখলস্বত্ব বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছে। তাদের বিরুদ্ধে এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি মামলা করা হয়েছে এবং কয়েকজন কারাগারেও আছেন।

তিনি আরও বলেন, জঙ্গল সলিমপুরের উদ্ধার করা ৩১০০ একর খাস জমির বিষয়টি সরকারের নজরে আসে। সেজন্যই পাহাড় ও বন রক্ষা করে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ভারসাম্য আনা ও জীববৈচিত্র রক্ষায় ফের কীভাবে জঙ্গল সলিমপুর এলাকাকে সবুজায়নের মাধ্যমে সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যায় সেজন্য আগামী ১২ সেপ্টেম্বর সরকারের উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠক হতে যাচ্ছে। সেখানে জঙ্গল সলিমপুরকে নিয়ে মাস্টার প্ল্যানের বিষয়ে কথা হবে। এ মাস্টার প্ল্যানের মাধ্যমে জঙ্গল সলিমপুর এলাকার অন্ধকার যুগের অবসান ঘটবে।

জানা গেছে, জঙ্গল সলিমপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বৈঠকের বিষয়টি গত বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ মহিবুল হাসান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানানো হয়েছে। সভায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, জননিরাপত্তা বিভাগ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, ভূমি মন্ত্রণালয়, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগের সিনিয়র সচিব সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও গ্রাম রক্ষা বাহিনীর প্রধানগণ চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

এছাড়াও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম. রেজাউল করিম ও সিডিএ চেয়ারম্যানকে বিশেষ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

প্রায় তিন দশক ধরে জঙ্গল সলিমপুরের পাহাড়ে হাজারো অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। গত এক মাস ধরে জেলা প্রশাসন সেখানে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে আসছে।

কেএম/জেডএস