ফাইল ছবি

আগামী অক্টোবরে চালু হবে কালনা সেতু। এ সেতু চালুর আগে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি মিলছে না। সেতু চালুর পর অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।  

একইসঙ্গে মেট্রোরেলে ভাড়ার বিষয়টি যাত্রীরা সহজভাবে নেবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। 

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‌‘বিএসআরএফ সংলাপ’-এ অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

সংলাপে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফের সভাপতি তপন বিশ্বাস আর সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চালুর বিষয়ে প্রথমে আমাদের কোনো নিষেধ ছিল না। কিন্তু সেখানে একটা সমস্যা হয়, যে সমস্যার জন্য পদ্মা সেতুই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। 

তিনি বলেন, এ বাস্তবতাটি সবারই মেনে নেওয়া উচিৎ। তাছাড়া কিছুদিন পরে কালনা সেতুর উদ্বোধন হলে তখন নতুন বাস্তবতা দেখা যাবে। তখন এ পথে আরও দ্রুত বেগে গাড়ি চলবে। তখন বাস্তবতাসহ সব কিছু মিলিয়ে পরবর্তীতে আমরা চিন্তা করব। 

তিনি জানান, কালনা সেতুর নির্মাণ কাজ এ মাসেই শেষ হবে। অক্টোবরের যেকোনো সময়, প্রধানমন্ত্রী যখন সময় দেবেন এটি উদ্বোধন করা হবে। 

আরও পড়ুন : ‘মোমেনের মন্ত্রিত্ব যা‌বে কিনা সেটার এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর’

মেট্রোরেলে ভাড়ার বিষয়টি সহজভাবে নেবেন যাত্রীরা
প্রতি কিলোমিটারে মেট্রোরেলের যে ভাড়া ঘোষণা করা হয়েছে, তা তুলনামূলক বেশি বলছেন অনেকে। বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবেন কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ভিন্ন মত থাকতেই পারে। যখন বাস্তবে তারা মেট্রোরেলে আসা-যাওয়া করবেন, তিন মিনিট পরে এক স্টেশন। এ বাস্তবতা উপলব্ধি করেন, ৪০ মিনিটে চলে আসবেন একদম গন্তব্যে, পুরো গন্তব্যের মাথায়। তখন তারা এটা সহজভাবে নেবেন বলে আমরা আশা করি। 

উদ্বোধনের অপেক্ষায় ৮৭টি সেতু
ছোট, মাঝারি এবং বড়- সব মিলিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মোট ৮৭টি সেতু উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের। 

তিনি বলেন, ঠিক এ মুহূর্তে আমার হাতে উদ্বোধনের জন্য অপেক্ষা করছে ৮৭টি ছোট, মাঝারি ও বড় সেতু। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তিনি সময় পেলে উদ্বোধন করবেন আর না হলে আমাকে করতে বলেছেন। তবে কাজ শেষ হয়ে গেছে।

এসএইচআর/এনএফ