চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) বিদ্যুৎ উপ-বিভাগে কর্মরত বাতি পরিদর্শক এনামুল হককে বিধি-বহির্ভূতভাবে দেওয়া হয়েছিল সহকারী প্রকৌশলীর (বিদ্যুৎ) অতিরিক্ত দায়িত্ব। এ দায়িত্ব বাতিল করতে বলেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। 

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সরকার বিভাগের সিটি করপোরেশন-২ শাখার উপ-সচিব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের সই করা এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানা গেছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল (বিদ্যুৎ) উপ-বিভাগের অধীন এনামুল হককে (পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়া) বাতি পরিদর্শক হিসেবে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগের কয়েক বছর পর এনামুল হককে বাতি পরিদর্শক পদে স্থায়ীও করা হয়। পরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন থেকে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে উপ-সহকারীর (বিদ্যুৎ) চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়। বর্তমানে আবার তাকে বিধি বহির্ভূতভাবে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে সহকারী প্রকোশলীর (বিদ্যুৎ) অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

অথচ দায়িত্ব দেওয়ার সময় তার মূল পদ ‘বাতি পরিদর্শক’ উল্লেখ করা হয়নি। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের গ্রেডেশন তালিকাতেও তার নাম তা-ই। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নিয়োগ বিধিমালায় এ জাতীয় দায়িত্ব দেওয়ার বিধান না থাকার পরও কৌশলে অর্থের বিনিময়ে তাকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ফলে করপোরেশনে কর্মরত উপ-সহকারী প্রকৌশলীদের মধ্যে মারাত্মক ক্ষোভ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। তাই বাতি পরিদর্শক এনামুল হককে সহকারী প্রকৌশলীর (বিদ্যুৎ) অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়ার অফিস আদেশটি বাতিলপূর্বক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পত্রে অনুরোধ করা হলো।

চসিক সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ৬ এপ্রিল স্ব-বেতনে এনামুল হককে উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে চলতি দায়িত্ব দেয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, যা অনিয়মতান্ত্রিকভাবে করা হয়। পরে চলতি বছরের ৭ এপ্রিল চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতেই তাকে সহকারী প্রকৌশলীর অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ সংক্রান্ত অফিস আদেশে সই ছিল চসিক সচিব খালেদ মাহমুদের।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সচিব খালেদ মাহমুদ ঢাকা পোস্টকে মোবাইল ফোনে বলেন, তার নিয়োগ বাতিল করা হয়নি। মন্ত্রণালয় থেকে নিয়োগের বিষয়ে মেয়রের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে।

মেয়রের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিয়ে কল কেটে দেন তিনি।

কেএম/আরএইচ