নিউ মার্কেটের ভেতরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।

বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এই অভিযান শুরু হয়। উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডিএসসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামান।

এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামান এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিফা খানের নেতৃত্বে নিউ মার্কেটের ভেতরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকানপাট উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নিউমার্কেটের মূল এরিয়ার ভেতরে পুরো এলাকা জুড়েই অভিযান চালানো হয়। এসময় মূল দোকানগুলোর সামনের নকশা বহির্ভূত ও অবৈধভাবে বসানো টং দোকান অপসারণ করা হয়। প্রায় পঞ্চাশের বেশি অপসারণ করা টং দোকান তাৎক্ষণিকভাবে জব্দ করে সিটি করপোরেশনের ট্রাকে উঠিয়ে দেওয়া হয়। 

তবে অভিযানের ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দোকানি ও ব্যবসায়ীরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী বলেন, বাইরে রাস্তার পাশে ফুটপাতে হাজার হাজার দোকান বসে আছে। যেগুলো নিয়মিত মাসোহারার মাধ্যমে অবৈধভাবে ফুটপাতের ওপর বসানো হয়েছে। সিটি করপোরেশন সেগুলো উচ্ছেদে কেন ব্যবস্থা নেয় না। বারবার শুধু আমাদের ওপরই কেন অভিযানের খড়গ চালানো হয়।

আরেক দোকানি বলেন, নিউ মার্কেটের মূল এরিয়ার ভেতরে দোকান ভাড়া নিতে অনেক বেশি সিকিউরিটি মানি ও বেশি ভাড়ার কারণেই নিরুপায় হয়ে ছোট দোকানের জায়গা ভাড়া দেন ব্যবসায়ীরা। এতে করে ছোট টং দোকানিরাও খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে পারেন, আর মূল মালিকদেরও কিছুটা সাশ্রয় হয়।

অপরদিকে নিয়ম মেনে এবং আগেভাগে সতর্ক করেই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে বলে দাবি করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা মুনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, নিউ মার্কেটে আসা ক্রেতা সাধারণের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে ও পরিবেশ সুন্দর রাখতেই এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। নকশা বহির্ভূতভাবে এবং সিটি করপোরেশনের অনুমতি ছাড়া এখানে বাড়তি দোকান বসানোর সুযোগ নেই। আমরা অভিযানের কয়েকদিন আগে অবৈধ দোকান সরিয়ে নেওয়ার জন্য মাইকে প্রচারণা চালিয়েছি। এরপরও যেসব দোকান সরানো হয়নি আজকের অভিযানে সেগুলো উচ্ছেদ করেছি। নগরীর সার্বিক পরিবেশ সুন্দর রাখতে এমন অভিযান চলমান থাকবে।

আরএইচটি/জেডএস