৩০ বছর ধরে দৈনিক মজুরিতে চাকরি করে এলেও এখন পর্যন্ত জাতীয়করণ নামক সোনার হরিণের দেখা পাননি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ইপিআই কর্মসূচির ভ্যাকসিন বাহকরা (ইপিআই পোর্টার)। এ অবস্থায় অন্তত চাকরিজীবনের শেষ মুহূর্তে এসে ২০তম গ্রেডে চাকরি জাতীয়করণের দাবি করেছেন এসব কর্মী।

শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীর জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে বাংলাদেশ বিভাগীয় ইপিআই ভ্যাকসিন বাহক কল্যাণ সমিতির সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এ দাবি জানান।

সংগঠনটির সভাপতি বাবুল হোসেন তালুকদার জানান, আমরা বিগত ৩০ বছর ধরে দেশের প্রত্যেকটি উপজেলায় ইপিআই পোর্টার বা ভ্যাকসিন বাহক হিসেবে কাজ করছি। বর্তমানে দৈনিক মজুরি বরাদ্দ হিসেবে আমরা দৈনিক ৬০০ টাকা পাই। এতে ২৪ কার্যদিবসের প্রত্যেক মাসে আমরা ১২ হাজার টাকা পেয়ে থাকি। এছাড়া পরিবহন বাবদ আমরা আরও কিছু টাকা পাই। এতে ১৪ হাজার টাকা আসে।

আরও পড়ুন: ‘অটো পাস’ ‘কোভিড ব্যাচ’ বলে শিশুর ক্ষতি করছেন না তো?

তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটি উপজেলা ২-৪ জন করে আমাদের মোট ১ হাজার ৩০৮ জন হেলথ কমপ্লেক্স ইপিআই পোর্টার আছি। আমাদের চাকরি জাতীয়করণের মাধ্যমে এনে জাতীয় স্কেল ২ হাজার ১৫ টাকার পরিবর্তে ৮ হাজার ২৫০ টাকা করার দাবি জানাই। এছাড়া স্কেলে ২০তম গ্রেডে এনে মোট ১৪ হাজার ৭৮৭ টাকা বেতন ও বছরে পাঁচটি বোনাস দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

সমিতি থেকে সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে বলা হয়, দাতা সংস্থা যেমন গাভিপান্ড, ইউনিসেফ, ডব্লিউএইচও এসব ফান্ডের টাকা সরকার রাজস্ব খাতে জমা নিয়ে চাকরি জাতীয়করণ করে বেতন বোনাস দেওয়া হোক।

সংবাদ সম্মেলনে ইপিআই কর্মসূচির ভ্যাকসিন বাহক হিসেবে কর্মরত প্রায় ৫০ জন কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

টিআই/এসএসএইচ