ফাইল ছবি

বঙ্গোপসাগর ও বাঁশখালীতে টানা ৪৮ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে ১১ দস্যুকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। আসামিরা সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে ডাকাতির ঘটনায় সরাসরি জড়িত বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) র‍্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ১১ জলদস্যুর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র, তিন হাজারের বেশি লুট করা ইলিশ ও বিপুল পরিমাণ মাছ ধরার জাল এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত নৌকা জব্দ করা হয়েছে। 

শনিবার বিকেল ৪টায় চান্দগাঁও ক্যাম্প র‌্যাব-৭ অধিনায়ক লে. কর্নেল এম এ ইউসুফ সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবেন।

উল্লেখ, ২৬ আগস্ট রাতে আনোয়ারার গহিরা থেকে সন্দ্বীপের কাছাকাছি কালিয়ারচর এলাকায় বঙ্গোপসাগরে ৯টি নৌকায় ডাকাতি করে প্রায় এক কোটি টাকার ইলিশ লুট করেছে দস্যুরা। সামুদ্রিক মৎস্য আহরণকারী বোট মালিক সমিতির মহাসচিব আমিনুল হক বাবুল সরকার এ তথ্য ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছিলেন। এরপরও কয়েকটি মাছ ধরার বোটে মাছ লুটের ঘটনা ঘটে। 

গত ২৭ আগস্ট বাবুল সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেছিলেন, বঙ্গোপসাগরের আনোয়ারার গহিরা সাগর এলাকা থেকে কালিয়ারচর এলাকায় ৯টি মাছ ধরার বোটে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় মারধর করে জেলেদের কাছ থেকে এক কোটি টাকার মাছ নিয়ে গেছে দস্যুরা।

তিনি বলেন, এফবি মা-বাবা, এফবি মায়ের দোয়া, এফবি রহমান, এফবি ইয়াসমিন, এফবি বাবা-মাসহ মোট ৯টি বোটে দস্যুরা ডাকাতি করে সব মাছ লুট করে নিয়ে গেছে। গত ৫ বছরে এমন ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন তিনি। 

কেএম/ওএফ