বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী নিতে আগ্রহ কাতারের
বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসক, নার্স, পেশাজীবী এবং প্রযুক্তিবিদ নিয়োগের বিষয়ে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে কাতার। অন্যদিকে বাংলাদেশ দেশটি থেকে অতিরিক্ত এলএনজি সরবরাহের জন্য অনুরোধ করেছে।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) দোহায় বাংলাদেশ ও কাতারের দ্বিতীয় ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত। বৈঠকে কাতার দক্ষ কর্মীর নিয়োগের বিষয়ে দেশটির আগ্রহের কথা জানায়।
বিজ্ঞাপন
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এফওসি বৈঠকে ঢাকার পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। অন্যদিকে দোহার পক্ষে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোলতান বিন সাদ আল-মুরাইখি।
বৈঠকে দুই মন্ত্রী বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে কূটনৈতিক, অফিসিয়াল এবং বিশেষ পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা মওকুফ সংক্রান্ত একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। উভয়পক্ষ আসন্ন উচ্চ পর্যায়ের সফরের সময় দ্বিগুণ কর পরিহার, সাংস্কৃতিক সহযোগিতা, আইনি ক্ষেত্রে সহযোগিতা, শিক্ষা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক এবং ওয়াকফ ও ইসলামিক বিষয়ে সহযোগিতা নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করতে সম্মত হয়।
বিজ্ঞাপন
বৈঠকে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক এবং বহুপাক্ষিক বিষয়গুলো নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হচ্ছে- দক্ষ জনশক্তি ও মানবসম্পদ উন্নয়নে সহযোগিতা বৃদ্ধি, ব্যবসায়িক যোগাযোগ বৃদ্ধি, দুই দেশের কূটনীতিক ও কর্মকর্তাদের ভিসা মওকুফ, খাদ্য নিরাপত্তা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ এবং বেসামরিক বিমান চলাচলে সহযোগিতা।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হাই-টেক পার্ক, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, নির্মাণ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বিবেচনা করার জন্য কাতারকে অনুরোধ করেন। প্রতিমন্ত্রীর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে কাতার এ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পাঠানোর অনুরোধ জানায়।
শাহরিয়ার আলম রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে কাতারের সমর্থনও চেয়েছেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কাতারের আমিরকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ পুনর্ব্যক্ত করা হয়। আগামী বছর কাতারের আমির বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির প্রতিমন্ত্রী।
উভয়পক্ষ বিদ্যমান বন্ধুত্বের বন্ধনকে আরও সুসংহত করতে এবং নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে যার যার অবস্থান থেকে প্রত্যাশা ব্যক্ত করে।
বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পশ্চিম) শাব্বির আহমেদ চৌধুরী ও কাতারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জসিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
এনআই/জেডএস