৮০ ভাগ কাজ শেষ ঘোড়াশাল-পলাশ সার কারখানার
ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা প্রকল্পের শতকরা ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২০২৩ সালে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সার কারখানাটি চালু করা সম্ভব হবে।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান জাপানের মিতসুবিশি হেভী ইন্ডাস্ট্রিজ গ্রুপ এবং চীনের চায়না কনসোর্টিয়াম কোম্পাওনর প্রতিনিধিরা। এ সময় প্রতিষ্ঠান দুটির প্রতিনিধিরা শিল্পমন্ত্রীকে এ সব কথা জানান।
বিজ্ঞাপন
এ সময় শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা, বিসিআইসির চেয়ারম্যান শাহ মো. ইমদাদুল হক, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নূরুল আলম এবং এসএম আলম, যুগ্মসচিব মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও মো. আব্দুল ওয়াহেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চীন ও জাপানি কোম্পানির প্রতিনিধি নরসিংদীর পলাশে নির্মাণাধীন ‘ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা’ প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে শিল্পমন্ত্রীকে অবহিত করেন। আগামী বছরের নভেম্বরে সার উৎপাদনে যাওয়া সম্ভব হবে। প্রতিনিধিবৃন্দ প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য বিদ্যমান কিছু চ্যালেঞ্জের বিষয়েও মন্ত্রীকে অবহিত করেন। জাপানি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার আশুগঞ্জে একটি অত্যাধুনিক ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বিজ্ঞাপন
শিল্পমন্ত্রী আশুগঞ্জে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অত্যাধুনিক সার কারখানা স্থাপনে জাপানি প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে শীঘ্রই সম্ভাব্যতা যাচাই (ফিজিবিলিটি স্টাডি) শুরু করতে সমঝোতা স্বাক্ষরের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
প্রতিনিধিদলকে নির্মাণাধীন প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, যেসব বিষয়ে সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ রয়েছে তা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগামী ২০২৩ সালে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা করি।
এসআই/এমএ