জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ, অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন চর্চার সুযোগ নিশ্চিত করা, শ্রম আইন সংশোধন, কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা এবং রেশন ও আপৎকালীন মহার্ঘ্য ভাতার দাবি জানিয়েছে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)।

শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শ্রমিক সমাবেশে এ দাবি জানান শ্রমিক নেতারা। 

শ্রমিক নেতা কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন বলেছেন, দেশের শ্রমিকরা কিছুই পায় না। দেশে ৮ হাজার নতুন কোটিপতি হয়েছে। তারা শ্রমিক শোষণকারী। আর শ্রমিকরা মাথার গাম পায়ে ফেলেও ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা মজুরির জন্য রাস্তায় দাঁড়াতে হয়। বৈশ্বিক ও সরকারি নীতি হিসাবে একজন শ্রমিকের বেতন ৯৩ হাজার টাকা হওয়া উচিত। আমরা মাত্র ২০ হাজার চেয়েছি। 

তিনি বলেন, আমাদের পাটকল ধ্বংস হয়নি বরং রাষ্ট্রায়াত্ব পাটকল বন্ধ করে বেসরকারি পাটকল স্থাপন করা হয়েছে। আর রাষ্ট্রায়াত্ব পাটকল শ্রমিকরা রাস্তায় বসে গেছে। অবিলম্বে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করে  ২০ হাজার টাকা মজুরি করুন। যদিও এই টাকায় আজকের বাজারে জীবন চলে না। 

স্কপ নেতা শহিদুল্লাহ চৌধুরী বলেন, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য কমাতে এবং ভারসাম্যপূর্ণ শিল্পসম্পর্ক তিরি করতে শ্রমজীবীদের সামাজিক নিরাপত্তা ও স্বাধীনভাবে দর কষাকষির সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। শ্রম আইনের শ্রমিক স্বার্থবিরোধী ধারাসমূহ সংশোধন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, দেশের উন্নয়নের নামে মালিকদের উন্নয়নের গল্প শুনিয়ে শ্রমজীবী মানুষের ক্ষুধা নিবারণ করা যাবে না। তাই অবিলম্বে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণসহ সব শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরি নিত্যপণ্যের বাজারদরের সাথে সংহতিপূর্ণভাবে পুনর্নির্ধারণ ও শ্রমজীবীদের জন্য সার্বজনীন রেশনের ব্যবস্থা এবং অন্তর্বর্তী সময়ে মহার্ঘ্য ভাতা চালু করতে হবে।

সমাবেশ থেকে শ্রমজীবীদের জন্য সার্বজনীন রেশন চালুর দাবিতে আগামী ৫ অক্টোবর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান এবং সারা দেশ থেকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে খাদ্যমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পাঠানোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
 
স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক চৌধুরী আশিকুল আলমের সভাপতিত্বে এবং অপর যুগ্ম সম্যক আহসান হাবিব বুলবুলের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন স্কপ নেতা শহিদুল্লাহ চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন, রাজেকুজ্জামান রতন, সাইফুজ্জামান বাদশা, শামীম আরা, বাদল খান, সার্কীল আভার চৌধুরী, আমিরুল হক আমিন প্রমুখ। 

আইবি/এমএ