ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, পঁচাত্তরের খুনিরা ভেবেছিল মুজিবকে হত্যার মধ্য দিয়ে মুজিব অধ্যায়ের অবসান হয়েছে। তারপর সামরিক সরকার ও যুদ্ধাপরাধী শক্তি ২১ বছর দেশ শাসন করে। দেশ তখন পেছনের দিকে হাঁটছিল। পঁচাত্তরের পর মুজিব আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আড়াল করার প্রয়াস অব্যাহত ছিল।

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে রণাঙ্গনে মুক্তিযোদ্ধা’৭১ আয়োজিত  ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আরেফিন সিদ্দিক বলেন, পৃথিবীর সব দেশ এমন হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রে স্বাধীন কমিশন গঠন করে ষড়যন্ত্রকারীদের  নাম জাতির কাছে উপস্থাপন করেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ষড়যন্ত্রকারীদের নাম জাতির কাছে প্রকাশ করা হয়নি। তবে আইনমন্ত্রী বলেছেন, কিছুদিনের মধ্যে স্বাধীন কমিশন গঠন করবেন। আমরা আশা করি, স্বাধীন নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত ষড়যন্ত্রকারীদের তালিকা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা হবে। 

তিনি বলেন, পাকিস্তানিদের হাতে দীর্ঘ ২৪ বছর নির্যাতন-নিপীড়ন ও শোষিত হওয়ার হাত থেকে মুক্ত করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে স্বাধীনতা এনে দেন। তার ডাকেই মুক্তিযোদ্ধারা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠনে তিনি রাত-দিন অক্লান্ত পরিশ্রম শুরু করেন। একটু একটু করে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছিল বাংলাদেশ। আর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বিপথগামী কিছু সেনা কর্মকর্তা ও সৈনিক ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। তার সঙ্গে শহীদ হন আরও ১৮ জন। এরপর ২১ বছরে ২১টি প্রজন্ম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সঠিক কোনো ইতিহাসের পাঠ গ্রহণ করতে পারেনি। 

রণাঙ্গনে মুক্তিযোদ্ধা’৭১ এর আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজ্জাকুল হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে  আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন, অ্যাড. আব্দুল নুর দুলাল, হাসান আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলমসহ অন্যান্য নেতারা।

আইবি/আরএইচ