এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৮টি মামলায় ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা ও ফুটপাতে নির্মাণসামগ্রী রেখে জনসাধারণের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এছাড়াও একটি দোকানে ট্রেডলাইসেন্স না থাকায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই জরিমানা আদায় করেন।

অঞ্চল ৬ এর আওতাধীন ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের সেক্টর ১৪ এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। ২টি নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ২টি মামলায় এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

অঞ্চল-১ এর আওতাধীন ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরা সেক্টর নম্বর ১, ৩ ও ৫ এবং ওয়ার্ড ১৭ এর খিলক্ষেত উত্তর ও দক্ষিণ পাশের এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। 

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে বাসা-বাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে, ফাঁকা প্লটে মশকবিরোধী অভিযান ও সমন্বিতভাবে এডিশ বিরোধী অভিযানে ৪টি স্থানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় দণ্ডবিধি আইন ১৮৬০ এর ২৬৯ ধারার ৪টি মামলায় ৭৫ হাজার টাকা এবং ফুটপাতের ওপর ইট রাখায় স্থানীয় সরকার সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯  এর ৫ম তফসিলের ৭ ধারা অনুযায়ী ১টি মামলায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় । এছাড়া ৩টি নিয়মিত মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন। 

অঞ্চল ২ এর আওতাধীন ৭ নম্বর ওয়ার্ড মিরপুর এলাকায় অভিযানকালে নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ২টি মামলায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান এই অভিযান পরিচালনা করেন। 

এছাড়াও অঞ্চল ৪ এর আওতাধীন ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মাজার রোড, ২য় কলোনি এলাকায় প্রায় ২৫টি ভবন, স্থাপনা, জলাশয়, রেস্টুরেন্ট ও দোকানপাট পরিদর্শন করে ডিএনসিসির টিম। কিন্তু সেখানে কোনো লার্ভা পায়নি তারা। তবে সেখানকার একটি দোকানে ট্রেডলাইসেন্স নবায়ন না থাকায় স্থানীয় সরকার আইন ২০০৯ এর ৯২ (৩) ধারা অনুযায়ী ১টি মামলায় ২ হাজার টাকা  জরিমানা করা হয়। এছাড়া প্রায় ৫০০ মিটার রাস্তা ও ফুটপাথ দখলমুক্ত করে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এএসএস/এমএ