২০১৫ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেন জব্দের ঘটনায় চোরাচালান ও মাদক আইনে দায়ের করা দুই মামলায় আদালতে দুই জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আদালত আগামী ২৬ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁইয়ার আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী।

তিনি বলেন, কোকেন জব্দের ঘটনায় চোরাচালান ও মাদক আইনে দায়ের হওয়া দুটি মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল আজ। দুই মামলাতেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উপ-কমিশনার মুকিতুল হাসান (তৎকালীন সহকারী কমিশনার, কাস্টম হাউজ, চট্টগ্রাম) সাক্ষী দিয়েছেন। তিনি দুটি জব্দ তালিকার সাক্ষী। উনিসহ অন্যান্য সরকারি সংস্থার উপস্থিতিতে কনটেইনারে রক্ষিত ড্রামের ভেতর কোকেন মিশ্রিত সূর্যমুখী তেল রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য আলামত হিসেবে সংগ্ৰহ করা হয়।

আরও পড়ুন: ফারাজ করিমের আহ্বানে শিক্ষার্থীদের বাসভাড়া কমলো ৪০ টাকা

এছাড়া আজ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী টার্মিনাল ম্যানেজার রাজীব চৌধুরী (তৎকালীন টার্মিনাল অফিসার, বন্দর কর্তৃপক্ষ) আদালতে সাক্ষী দিয়েছেন। তিনি বন্দরে জাহাজ আসা এবং জাহাজ থেকে এই কনটেইনার-সহ অন্যান্য কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দরে নামানোর বিষয়ে সাক্ষ্য দেন।

পিপি আরও বলেন, মাদক মামলায় এখন পর্যন্ত ২৮ জন ও চোরাচালান মামলায় সাত জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটরকে সহযোগিতা করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আবু জাফর, অ্যাডভোকেট সাব্বির আহমেদ শাকিল ও অ্যাডভোকেট মোহা. সাহাব উদ্দিন।

মামলার আসামিরা হলেন— চট্টগ্রামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ, তার ভাই মোস্তাক আহম্মদ, খান জাহান আলী লিমিটেডের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সোহেল, মোস্তফা কামাল, আইটি বিশেষজ্ঞ মেহেদী আলম, আতিকুর রহমান, কসকো বাংলাদেশ শিপিং লাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (করপোরেট, বিক্রয় ও বিপণন) এ কে এম আজাদ, যুক্তরাজ্য প্রবাসী ফজলুর রহমান ও বকুল মিয়া এবং সিঅ্যান্ডএফ কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম।

২০১৫ সালের ৭ জুন চট্টগ্রাম বন্দরে একটি কন্টেইনার জব্দের পর সিলগালা করে কর্তৃপক্ষ। পরে আদালতের নির্দেশে কন্টেইনার খুলে ১০৭টি ড্রাম থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। প্রথমে বন্দরের পরীক্ষায় এসব নমুনায় কোকেনের উপস্থিতি না মেলায় ঢাকার বিসিএসআইআর এবং বাংলাদেশ ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে তরলের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। দুই পরীক্ষাগারেই নমুনায় তরল কোকেনের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। এ ঘটনায় একই বছরের ২৮ জুন চট্টগ্রামের বন্দর থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ ও চোরাচালান আইনে দুটি মামলা করে পুলিশ।

কেএম/এসএসএইচ