জাসদের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য শিরিন আখতার বলেছেন, জনসম্মুখে ধূমপান করায় কাউকে ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে, এখন পর্যন্ত তা শুনিনি।

তিনি বলেন, তামাকের বিরুদ্ধে আমাদের প্রচারণা চালাতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনকে এই প্রচারণা জোরালো করতে হবে। পাশাপাশি খসড়া আইনের বাস্তবায়ন দরকার।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া সংশোধনী দ্রুত পাস করার দাবিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জাসদের সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন। ঢাকা আহছানিয়া মিশন সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করেছে।

শিরিন আখতার বলেন, খুব কম পরিবার আছে, যারা তামাকের সঙ্গে জড়িত না। খারাপ অভ্যাসগুলো পাল্টে দিতে হবে। পাবলিক প্লেসে সিগারেট খাওয়া বন্ধ করতে হবে। শিশুদের ওপর যেন তামাকের প্রভাব না পড়ে, সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ২০৪০ সালে বাংলাদেশ ধূমপান মুক্ত হবে। এজন্য সবাইকে সচেতন ও আইন বাস্তবায়নে সহায়তা করতে হবে।

রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে এই সংসদ সদস্য বলেন, সচেতনতা তৈরিতে সবাইকে উদ্যোগ নিতে হবে। দেশকে তামাকমুক্ত করতে প্রচলিত আইন সংশোধন করা দরকার। প্রয়োজনে টোব্যাকো কোম্পানি বন্ধ করে দিতে হবে। রাজস্ব প্রাপ্তির আরো জায়গা আছে। সেদিকে এনবিআরকে নজর দিতে হবে। নতজানু হয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।

সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আহছানিয়া মিশনের প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. শরীফুল ইসলাম। তিনি বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী আনতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা নিঃসন্দেহে সময়োচিত এবং জনবান্ধব। তবে এটি এখনও খসড়া হিসেবে রয়ে গেছে। এটিকে আইনে রূপান্তর করতে নানা রকম বাধা আসার আশঙ্কা রয়েছে। সংশোধনীর বিপক্ষে তামাক কোম্পানিগুলোর নানামুখী অপকৌশল ও অপতৎপরতা শুরু হয়ে গেছে। তারা নানা রকম বিভ্রান্তমূলক তথ্য মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার করছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন- ঢাকা আহছানিয়া মিশনের যুগ্ম পরিচালক কে এস এম তারিক, ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব, ল রিপোর্টার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ সারোয়ার, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুস সালাম প্রমুখ।

আইবি/এমএইচএস