রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সুরক্ষা ও মানবিক সহায়তা প্রদানে জাপান সরকার এবং জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা- ইউএনএইচসিআর ৩ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি অংশীদারি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) এ চুক্তি স্বাক্ষর করা হয় বলে জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর।

সংস্থাটি বলছে, কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে ও ভাসান চরে বসবাসকারী শরণার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও জীবনমুখী উপযোগী পরিষেবাগুলো বজায় রাখতে এই ৩ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের (জাপানের মুদ্রায় ৫০৫ মিলিয়ন ইয়েন) অনুদান ব্যবহার করা হবে।

চুক্তি অনুসারে, ইউএনএইচসিআর কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে ও ভাসান চরে তার মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। যার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে আইনি ও সম্প্রদায়ভিত্তিক সুরক্ষা (কমিউনিটি বেজড প্রোটেকশন), স্বাস্থ্য, স্বাস্থ্যবিধি ও পয়ঃনিস্কাশন, পুষ্টি সহায়তা এবং মূল ত্রাণের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলো।

বাংলাদেশে অবস্থানরত ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধি ইয়োহানেস ভন ডার ক্লাও বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা দিতে এবং তাদের আশ্রয় দেওয়া বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের সঙ্গে সংহতির জন্য জাপান সরকার ও জাপানের জনগণের প্রতি ইউএনএইচসিআর কৃতজ্ঞ।

তিনি বলেন, ভাসান চরে মানবিক কার্যক্রমের সহায়তায় জাপান প্রথম এগিয়ে এসেছিল। দেশটির সাহায্যের মাধ্যমেই সুরক্ষা ও অতিপ্রয়োজনীয় সেবাগুলোসহ ভাসান চরে স্থানীয় এনজিওগুলোর কাজকে ইউএনএইচসিআর সুদৃঢ় করতে পেরেছে।

এ বিষয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, ভাসান চরে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও জীবিকার সুযোগ উন্নত হবে এবং কক্সবাজারে তাদের নিরাপত্তা বাড়বে। এই দৃঢ় আশা নিয়ে জাপান প্রকল্পটিতে সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, যেহেতু রোহিঙ্গা সংকট ষষ্ঠ বছরে পরিণত হয়েছে, মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি শরণার্থীদের উন্নত ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করতে অর্থায়ন অব্যাহত রাখা অপরিহার্য। এই সংকটের টেকসই সমাধান একটি স্বাধীন ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল তৈরিতে সহায়ক হবে। আর এটি মাথায় রেখে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে জাপান বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পাশে থাকবে।

নতুন অর্থায়নের মাধ্যমে ইউএনএইচসিআর এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থা ও এনজিওগুলোকে ১৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি সহায়তা দিয়েছে জাপান।

এনআই/এমএইচএস