জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শনই সংবিধানের মূল ভিত্তি বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসস্থ সেনামালঞ্চে ‘বিশ্ব শান্তিতে বাংলাদেশের ভূমিকা’ শীর্ষক একটি সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস-২০২২ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে সেমিনারটি আয়োজন করেন।

আরও পড়ুন: উন্নয়নের সুফল মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে যুবসমাজকে আহ্বান

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, মানবজাতির প্রতি জাতির পিতার দর্শনই আমাদের সংবিধানের মূল ভিত্তি। এই ভিত্তিকে উজ্জীবিত রাখতে আমরা সবাই বদ্ধপরিকর থাকব।

এ সময় তিনি আশা ব্যক্ত করে বলেন, জাতির পিতার এই দর্শন এবং বাংলাদেশের সংবিধানকে সমুন্নত
রেখে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী ও সব পর্যায়ের অংশীদারগণ সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।

সেমিনারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের অসামান্য অবদান উল্লেখপূর্বক সামগ্রীকভাবে শান্তিরক্ষীদের সার্বিক অর্জনকে তুলে ধরেন। পাশাপাশি এই অর্জনকে সমুন্নত রেখে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনে করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত করেন।

সেমিনারের অপর বক্তা সাবেক রাষ্ট্রদূত শহীদুল হক তার বক্তব্যে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বর্তমানে বাংলাদেশের কূটনৈতিক উদ্যোগ এবং বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থানের সার্বিক বিষয়সমূহ তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী বক্তারা ও আগত অতিথি এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রশ্নোত্তর পর্ব সেমিনারকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর আতিকুল ইসলাম  তার বক্তব্যে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে ও দেশের বাহিরে শান্তি রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে সে বিষয়ে আলোকপাত করেন।

উল্লেখ্য, এ বছর আন্তর্জাতিক শান্তি দিবসের মূল প্রতিপাদ্য হলো ‘বর্ণবাদের অবসান, শান্তি বিনির্মাণ’। এই ধারণাকে সামনে রেখে নতুন প্রজন্মের কাছে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সক্রিয় এবং গৌরবময় ভূমিকা তুলে ধরার পাশাপাশি বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভবিষ্যত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সব স্তরের অংশীদারদের জন্য একটি সার্বজনীন সহায়ক ক্ষেত্র প্রস্তুত করাই হয়েছে এই সেমিনারের মূল উদ্দেশ্য।

এমএসি/এমএ