সিটি করপোরেশন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে রূপরেখা ও কার্যপরিধি অনুযায়ী সামাজিক-সম্প্রীতি কমিটি গঠন করতে সংশ্লিষ্টদের চিঠি পাঠিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। সম্প্রতি দেশের সব সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গত ২৮ জুলাইয়ের একটি চিঠির বরাত দিয়ে এতে বলা হয়, এ চিঠির নির্দেশনা বাস্তবায়নে সিটি করপোরেশন অধিক্ষেত্রে ও এর আওতাধীন ওয়ার্ড পর্যায়ে রূপরেখা ও কার্যপরিধি অনুযায়ী সামাজিক-সম্প্রীতি কমিটি গঠন ও কার্যক্রম গ্রহণ করে এ বিভাগকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

সিটি করপোরেশন পর্যায়ে সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির রূপরেখায় বলা হয়, সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশনের মেয়র এ কমিটির সভাপতি, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সহ সভাপতি এবং প্রধান সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা হবেন সদস্য সচিব। এ কমিটির মোট সদস্য সংখ্যা ১৩ জন। এ কমিটি কাজের সুবিধার্থে এক বা একাধিক সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে।

কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়, এ কমিটি সিটি করপোরেশন এলাকায় সম্প্রীতি সমাবেশ, উদ্বুদ্ধকরণ সভা, জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে বিদ্যমান আন্তঃধর্মীয় সম্পর্ক ও সামাজিক বন্ধনকে সুসংহত রাখাসহ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ধর্মীয় ও সামাজিক বন্ধনকে এগিয়ে নিতে সর্বদা সচেষ্ট থাকবে।  ধর্মীয় উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ, সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রচার ও উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম গ্রহণ করবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার রোধে প্রয়োজনীয় প্রচার ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করবে। মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ সব উপাসনালয়ের নিরাপত্তা বিধানে কার্যকর সহায়তা প্রদান করবে।

আরও পড়ুন: সব কর্মকর্তাকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর

এতে আরও বলা হয়, সব ধর্মীয় উৎসব যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে উদযাপনের পরিবেশকে অক্ষুণ্ণ রাখতে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে। বিভিন্ন ধর্মের শান্তি ও সৌহার্দের বাণীগুলো ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

অন্যদিকে সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড পর্যায়ে সামাজিক-সম্প্রীতি কমিটির রূপরেখায় বলা হয়, সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর সভাপতি, সংশ্লিষ্ট এলাকার সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর সহ সভাপতি এবং ওয়ার্ড সচিব এ কমিটির সদস্য সচিব হবেন। এ কমিটির সদস্য সংখ্যাও ১৩ জন। এ কমিটিও কাজের সুবিধার্থে এক বা একাধিক সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে।

কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়, এ কমিটি সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড পর্যায়ে সম্প্রীতি সমাবেশ, উদ্বুদ্ধকরণ সভা, জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে বিদ্যমান আন্তঃধর্মীয় সম্পর্ক ও সামাজিক বন্ধনকে সুসংহত রাখাসহ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ধর্মীয় ও সামাজিক বন্ধনকে এগিয়ে নিতে সর্বদা সচেষ্ট থাকবে। ধর্মীয় উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ, সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রচার ও উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম গ্রহণ করবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার রোধ করতে প্রয়োজনীয় প্রচার ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করবে। মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ সব উপাসনালয়ের নিরাপত্তা বিধানে কার্যকর সহায়তা প্রদান করবে।

কার্যপরিধিতে আরও বলা হয়, সব ধর্মীয় উৎসব যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে উদযাপনের পরিবেশকে অক্ষুণ্ণ রাখতে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে, বিভিন্ন ধর্মের শান্তি ও সৌহার্দের বাণীগুলো ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

চিঠিতে বলা হয়, কমিটির যাবতীয় ব্যয়ভার বিধি মোতাবেক সিটি করপোরেশনের নিজস্ব/রাজস্ব তহবিল থেকে নির্বাহ করতে হবে। প্রতি তিন মাসে কমপক্ষে একটি ‘সম্প্রীতি সমাবেশ’ আয়োজন করে এ সম্পর্কিত প্রতিবেদন এ বিভাগে প্রেরণের জন্যও চিঠিতে অনুরোধ করা হয়।

এসএইচআর/এসএসএইচ