নির্ধারিত সময়ের আগেই ঢাকায় ঢোকার চেষ্টা করে একটি কাভার্ডভ্যান। সন্দেহ হয় ট্রাফিক পুলিশের। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টা ৭ মিনিটে ট্রাফিক-ডেমরা জোনের মাতুয়াইল মেডিকেল ইনকামিং পয়েন্টে সার্জেন্ট সবুজ ঘোষ কাভার্ডভ্যানটি আটকের নির্দেশনা দেন।

কিন্তু চালক সিগনাল অমান্য করে ১০০ মিটার সামনে যেতেই আটকে দেওয়া হয়। তল্লাশির পর স্পষ্ট হয় কেন এতো ব্যস্ততা সেই কাভার্ডভ্যান চালকের। কাগজপত্র চাইতেই নেমে দৌড় দেয় চালক। 

পরে ট্রাফিক বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের উপস্থিততে কাভার্ডভ্যান তল্লাশি করে উদ্ধার করা হয় ১১ কেজি ৩৪৫ গ্রাম গাঁজা এবং ৬টি ব্র্যান্ডের ১৪২ বোতল বিদেশি মদ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের ডেমরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. ইমরান হোসেন মোল্লা ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাত ১০টার আগে কোনো মালবাহী ভারি যানবাহন রাজধানীতে প্রবেশ নিষিদ্ধ। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের আগে রাত ৯টা ৭ মিনিটে রাজধানীতে প্রবেশের চেষ্টা করলে একটি কাভার্ডভ্যানকে দাঁড়ানোর সিগনাল দেয় কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট। কিন্তু কাভার্ডভ্যান চালক সিগন্যাল অমান্য করে প্রায় ১০০ মিটার সামনে গেলে ডিউটিরত সার্জেন্ট সুমন ইসলাম ও সঙ্গীয় কনস্টেবল মো. বোরহান উদ্দীন ও কনস্টবল শফিকুল ইসলাম গাড়িটি আটক করেন।

তিনি বলেন, গাড়ির কাগজপত্র দেখানোর জন্য সার্জেন্ট সবুজ ও সার্জেন্ট সুমন চালক ও হেলপারকে গাড়ি থেকে নামতে বললে তারা দ্রুত পালিয়ে যায়। অন্ধকার থাকায় কাভার্ডভ্যানের চালক ও হেলপারকে আটক করা সম্ভব হয়নি। সন্দেহ হওয়ায় সার্জেন্ট সবুজ ও সুমন কাভার্ডভ্যানে তল্লাশি চালিয়ে এক প্যাকেট গাঁজা ও একটি কার্টন খুললে মদের বোতল বেরিয়ে আসে। সার্জেন্ট সবুজ দ্রুত বিষয়টি অবহিত করলে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছাই।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কাভার্ডভ্যানের ভেতর বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যের উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোস্তাক আহম্মেদকে অবহিত করি। এছাড়া ট্রাফিক পুলিশ কন্ট্রোলরুমে অবহিতপূর্বক স্থানীয় যাত্রাবাড়ী থানার সহযোগিতা চাওয়া হয়, বলেন তিনি। 

ইমরান হোসেন মোল্লা বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে প্লাস্টিকের বস্তা খুলে ১১ প্যাকেটে সর্বমোট ১১ কেজি ৩৪৫ গ্রাম গাঁজা এবং ৪টি কার্টনে ৬টি ব্র্যান্ডের ১৪২ বোতল বিদেশি মদসহ উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শিকদার মহিতুল আলম ও এসআই আব্দুর রাহিমকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এ সংক্রান্তে ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে একটি জিডি করা হয়। এছাড়া মাদকদ্রব্য উদ্ধারের ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

জেইউ/ওএফ