চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে গত ২৮ জুলাই এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার অন্যতম আসামি দেলোয়ার হোসেনকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। দেলোয়ার সীতাকুণ্ড থানার ১০ মামলার আসামি।
 
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে সীতাকুণ্ডের সোনায়ছড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার। 

তিনি বলেন, ভুক্তভোগী নারী বিবাহিত ও তার দুটি সন্তান রয়েছে। তিনি চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ডের একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। তার স্বামী পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। এ কারণে ভুক্তভোগী সন্তানদের নিয়ে তার বাবার বাড়ি মুরাদপুরে চলে যান। 

গত ২৮ জুলাই ওই নারীর ভাড়া বাসা থেকে আনুমানিক ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায় দুষ্কৃতকারীরা। ছিনিয়ে নেওয়া মালামাল আনার জন্য তিনি তার ভাগনে ও ফুফাতো ভাইয়ের ছেলেকে নিয়ে ওই রাতে বাড়বকুন্ড ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন রাস্তায় পৌঁছালে দুষ্কৃতকারীরা তাদের মারধর করে।  

পরে বাড়বকুন্ড ইউনিয়নের মকবুল রহমান জুট মিল সংলগ্ন রেললাইনের একটি ঝুপড়ি ঘরে আটক রেখে ওই নারীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে দুষ্কৃতকারীরা। পরে তারা ধর্ষণের ছবি তাদের মোবাইলে ধারণ করে এবং অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে পালিয়ে যায়।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ভুক্তভোগী ওই নারীকে উদ্ধার করেন তার বড় ভাই। তিনি সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বোনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। পরে ওই নারী বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় একজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।  

মামলা দায়েরের পর অভিযান পরিচালনা করে মামলার প্রধান আসামি মো. সাদ্দাম হোসেন ও ৩ নম্বর আসামি মো. জাহেদ মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারেও র‍্যাবের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ভোরে সোনায়ছড়ি এলাকা থেকে দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  

তিনি বলেন, গ্রেপ্তার দেলোয়ারের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানায় গণধর্ষণ, ডাকাতি, বিশেষ ক্ষমতা আইন, চুরিসহ বিভিন্ন অভিযোগের ১০টি মামলা রয়েছে। 

কেএম/জেডএস