জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) মহাপরিচালক একেএম হুমায়ুন কবীর বলেছেন, আমাদের চারপাশে দালাল শ্রেণি আছে। যারা প্রতিনিয়ত আমাদের বিক্রি করছে। এদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক তৈরি করবেন না।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের ত্রৈমাসিক সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

এনআইডি মহাপরিচালক তিনি বলেন, পত্রিকায় এসেছে, দিনাজপুরে নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়ে এক ভুক্তভোগী কান্না করছেন যে, আমাকে একটু জীবিত করে দেন। আমি মরিনি। তখন আমরা আপনাদের সফটওয়্যার দিয়ে দিলাম, সেখান থেকে এখন সেটা ঠিক করতে পারছেন। আমরা এবার ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত তথ্য উপাত্ত নিচ্ছি। আগামী বছর বয়স হয়ত আরও পেছনে যাব। একসময় হয়ত ফাইভ পাস করলেই আমরা এনআইডি কার্ড দেব।

তিনি বলেন, আমরা আগামী ভোট (জাতীয় নির্বাচন) আরও সুন্দর করতে চাই, এ কারণে আমরা ফিঙ্গার প্রিন্ট আপডেট করব। যারা স্মার্ট কার্ড নিয়েছেন, তারা ১০ আঙ্গুলের ছাপ দিয়েছেন। যারা ১০ আঙ্গুলের ছাপ দেননি, আগামী জানুয়ারি থেকে আমরা ১০ আঙ্গুলের ছাপ নেওয়ার চেষ্টা করব। এ বিষয়ে কমিশনের সঙ্গে ইতিমধ্যে আলোচনা করছি। চলমান হালনাগাদ শেষে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের (আগামী বছরের ২ মার্চ) পরপরই এ কার্যক্রমে যাব।

একেএম হুমায়ুন কবীর বলেন, একটি বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে, যারা বয়স্ক ব্যক্তি তাদের যেন সচেতনভাবে যাচাই-বাছাই করে ভোটার করা হয়। ঢাকায় নানা ধরনের মানুষ বসবাস করেন। আফ্রিকা থেকে ল্যাটিন অ্যামেরিকার লোকজন বসবাস করেন। কাজেই তারাও ভোটার হতে চাইতে পারে। পরিপূর্ণ তথ্য না দিলে ভোটার করবেন না।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন বাহিনীর চাকরিজীবীরা রেশন তোলার জন্য তিন-চার বছর পর স্ত্রীর নাম দিয়ে থাকেন। এখন সত্যিকার যখন বিয়ে হয়, তখন যার সঙ্গে বিয়ে হয় সেই নামের সঙ্গে আগের নামের মিল থাকে না। পেনশনে জটিলতা সৃষ্টি হয়। তখন সংশোধনের জন্য আসেন। আবার জন্মসনদ দুই তিনটা কার্যকর থাকে। আপনারা এসব ক্ষেত্রে খুব সতর্ক হবেন। যদি বয়স্ক কেউ ভোটার হন, দুটো জন্মসনদ থাকে, তবে ধরে নেবেন, ডাল ম্যা কুচ কালা হ্যায়। আর যদি একেবারে নতুন ভোটার হন তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সনদ তো রয়েছে। সেটা ফলো করতে হবে।

এনআইডি ডিজি বলেন, ওয়ারিশান সনদটা ভালো করে দেখে নেবেন, যেন ছোট ভাই, বড় না হয়ে যান। এসব বিষয় খেয়াল রাখবেন। এমনও দেখা যায়, ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে, দেখা গেল সেটা ৫৯ বছরে পেয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা প্রবাসীদের জন্য সবসময় অগ্রাধিকার দিচ্ছি। তাদের জন্য একটা পৃথক ডেস্ক খুলেছি। তার অর্থ এই নয়, রোহিঙ্গার সৌদি আরব থেকে এসে ভোটার হয়ে যাবে।

ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৈঠকে ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

এসআর/এসকেডি