দুর্নীতির অভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের সাবেক কান্ট্রি ম্যানেজার (লন্ডন স্টেশন) আখতার উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

মামলায় তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অফিস ইকুইপমেন্ট ও টেলিফোন সিস্টেমের সেবার লিজ চুক্তির মাধ্যমে সরকারের কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি সাধনের অভিযোগ আনা হয়েছে। 

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির উপপরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে অনুসন্ধানের সময় সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র ও তথ্য সংগ্রহ করে জানা যায় যে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের আভ্যন্তরীণ তদন্তে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয় আখতার উদ্দিন আহমেদ ১৯৯৩-১৯৯৮ সালে বিমানের লন্ডন স্টেশনে কান্ট্রি ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওই সময় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সিটি অফিসের জন্য অফিস ইকুইপমেন্ট ও টেলিফোন সিস্টেমের জন্য ত্রৈমাসিক ২ হাজার ১২৫ পাউন্ড স্টারলিং ভাড়ার ভিত্তিতে ৩টি কোম্পানির সঙ্গে লিজ চুক্তি করেন। যার মেয়াদ ছিল ২০০১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। কিন্তু তিনি এবি সার্ভিসেসের পক্ষে কেভিন লুইস এর মাধ্যমে বিমান বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন ছাড়াই বিরাজমান সব চুক্তি অবসান করে নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করেন। নতুন চুক্তিতে ত্রৈমাসিক ভাড়া ওই পাউন্ডের এর স্থলে ১০ হাজার ৫০৬ ইউকে পাউন্ড করা হয়। একইসঙ্গে ব্যাংক হিসাব খাত থেকে সরাসরি ডেবিট পদ্ধতিতে ভাড়া পরিশোধের শর্ত অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যা আগের চুক্তিতে ছিল না। 

এজাহারে আরও বলা হয়েছে, আক্তার উদ্দিন আহমেদ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন না নিয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে কেবিন লুইস এর বিরুদ্ধে মামলা করেন এবং ওই চুক্তির অধীনে ভাড়া দেওয়া বন্ধ রাখেন। কিন্তু চুক্তিপত্রে আক্তার উদ্দিন আহমেদের স্বাক্ষর থাকায় সব পক্ষের সম্মতিতে Centre for Dispute Resolutions এর মাধ্যমে প্রতি ত্রৈমাসিক ৭ হাজার ১৫৬ ইউকে পাউন্ড ভাড়া পরিশোধ নিষ্পত্তি হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন বহির্ভূত চুক্তিপত্রের ভিত্তিতে ২০০৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত লিজ রেন্ট বাবদ বিমানকে ১ লাখ ২০ হাজার ৭৪৪ ইউকে পাউন্ড সমপরিমাণ ৯৬ লাখ ৫৯ হাজার ৪৪০ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। যার মাধ্যমে সরকারের আর্থিক ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে।

আরএম/জেডএস