আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। ফলে ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা পূর্ব পর্যন্ত তারা প্রচার চালাতে পারবেন। সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ৬১ জেলার পরিষদ (তিন পার্বত্য জেলা বাদে) নির্বাচনের প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে।

ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখা জানিয়েছে, চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ১৬২ জন, বাছাই শেষে বৈধতা পেয়েছিলেন ১৪২ জন। সাধারণ সদস্য পদে ১ হাজার ৯৮৩ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছিলেন, এদের মধ্যে বৈধতা পেয়েছিলেন ১ হাজার ৭৪৪ জন। আর সংরক্ষিত সদস্য পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ৭১৫ জন, যাদের মধ্যে বৈধতা পেয়েছিলেন ৬৭৫ জন। এরপর আপিল নিষ্পত্তি ও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার শেষে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন ৯০ জন, সাধারণ সদস্য পদে এক হাজার ৫০৫ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে রয়েছেন ৬২০ জন প্রার্থী।

জামালপুর, ঢাকা, নোয়াখালী, পাবনা, পিরোজপুর, কুমিল্লা, কুড়িগ্রাম, নওগাঁ, গোপালগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঝালকাঠি, টাঙ্গাইল, ঠাকুরগাঁও, নারায়ণগঞ্জ, ফেনী, বরগুনা, বরিশাল, বাগেরহাট, ভেলা, মাদারীপুর, মুন্সিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, লক্ষ্মীপুর, লালমনিরহাট, শরিয়তপুর, সিরাজগঞ্জ ও সিলেটের চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ মোট ২৭ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তবে আদালতের আদেশে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নির্বাচনী সকল কার্যক্রম স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ছাড়াও সাধারণ সদস্য পদে ৬৯ জন এবং সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৯ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৬ সালের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৯ জেলায় ১৯ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।

তফসিল অনুযায়ী, স্থানীয় এ সরকারে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১৭ অক্টোবর। নির্দলীয় এ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন।

আগের আইন অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট জেলার অধীনে যতগুলো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলোর সদস্যরাই জেলা পরিষদ সদস্যদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতেন। অর্থাৎ সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেয়র এবং কাউন্সিলররা বা সদস্যরা ভোট দিয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য ও পাঁচজন সংরক্ষিত সদস্য নির্বাচিত করতেন। কিন্তু সংশোধিত আইনে জেলা পরিষদের সদস্য সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলার উপজেলার সংখ্যার সমান। আর নারী সদস্য সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলার উপজেলা চেয়ারম্যানদের মোট সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ, তবে দুইজনের কম নয়। অর্থাৎ একেক জেলা পরিষদের সদস্যের সংখ্যা হবে একেক রকম, সংশোধনের আগে যেটা ২১ জন নির্দিষ্ট করে দেওয়া ছিল।

আগে পরিষদের মেয়াদ শেষ হলেও পরবর্তী নির্বাচন না হওয়ার পর্যন্ত পূর্বের পরিষদকেই দায়িত্ব পালন করার কথা বলা হয়েছিল আইনে। কিন্তু সংশোধিত আইনে সেটির পরিবর্তে প্রশাসক বসানোর বিধান আনা হয়েছে। সেই ক্ষমতা বলেই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় প্রশাসক বসানোর আদেশ জারি করে, যার বলেই এখনো প্রশাসক দায়িত্বে রয়েছে।

এসআর/ওএফ