কুমিল্লা বরুড়া থেকে রামকৃষ্ণ দেবনাথ ইমন (৩৮) নামে এক যুবককে আটক করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। ইমন বিভিন্ন ফেসবুক আইডির মাধ্যমে তরুণ-তরুণীদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে প্রতারণা করে আসছিলেন। 

ইমনের বিভিন্ন ফেসবুক আইডির মধ্যে ‘ফারজানা আক্তার’ নামের আইডি দিয়ে ছেলেদের সাথে ও ‘মন আমার উড়ন্ত পাখি’ আইডি দিয়ে মেয়েদের সাথে প্রতারণা করছিলেন। 

মঙ্গলবার সকালে ইমনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন। 

আরও পড়ুন : জিনের ভয় দেখিয়ে স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নিতেন তিনি

মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ইমন ‘মন আমার উড়ন্ত পাখি’ নামে একটি ফেসবুক আইডির মাধ্যমে রাজধানীর একটি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একদিন সেই শিক্ষার্থীর সাথে গোসল করার সময় ভিডিও কলে কথা বলেন তিনি এবং সেই ছবি তুলে রাখেন। পরে সেই ছবি দেখিয়ে ওই শিক্ষার্থীর কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন তিনি। টাকা না দিলে ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। পরে ওই শিক্ষার্থী থানায় অভিযোগ করলে ইমনকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ছেলেদের জন্য ফারজানা আক্তার, মেয়েদের জন্য মন আমার উড়ন্ত পাখি
মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ইমন বেশ কয়েকটি ফেসবুক আইডি ব্যবহার করেন। একটি আইডি দিয়ে প্রতারণা শেষ হলে সেই আইডি বন্ধ করে দেন। সর্বশেষ তার পাঁচটি আইডি সচল হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। সেগুলো হলো- মন আমার উড়ন্ত পাখি, মেঘলা আক্তার, ফারজানা আক্তার, ঢাকাইয়া পোলা, হঠাৎ বৃষ্টি। এগুলোর মধ্যে মন আমার উড়ন্ত পাখি আইডি দিয়ে মেয়েদের সাথে এবং ফারজানা আক্তার দিয়ে ছেলেদের সাথে বন্ধুত্ব করেন।   

আরও পড়ুন : ৫ লাখে বিক্রি, দাস বানিয়ে বাংলাদেশিদের নিয়ে ‘খেলে’ চীনারা!

তিনি আরও বলেন, ইমন মোবাইল রিচার্জের দোকানদার। কিন্তু মেয়েদের কাছে তিনি নিজেকে তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিতেন! তিনি বলতেন নারায়ণগঞ্জে তার দুটি পোশাক কারখানা আছে। 

ওসি আরও জানান, ইমনের প্রতারণার মূল উৎস তার ব্যবসা। তার কাছে কোনো মেয়ে মোবাইল রিচার্জ করলে তিনি তার মোবাইল নম্বর নোট করে রাখেন। পরে সেই নম্বরে যোগাযোগ করে তাদের প্রেমের ফাঁদে ফেলেন। এরপর ফুঁসলিয়ে তাদের কাছ থেকে নগ্ন, আপত্তিকর ছবি সংগ্রহ করেন। যারা এই ছবি দেন, তারাই তার জালে আটকা পড়েন। এরপরই তিনি টাকা দাবি করেন, নাহলে এসব ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।

এমএসি/এনএফ