কুশিয়ারা নদীর পানি প্রত্যাহারে বাংলাদেশ ও ভারতের স্বাক্ষর করা সমঝোতা স্মারক অনুমোদন দিয়েছে ভারতের মন্ত্রিসভা। বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এ অনুমোদন দিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম এএনআই।

চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রধানমন্ত্রীর নয়াদিল্লি সফরে যে সাতটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে তার একটি হচ্ছে সিলেটের কুশিয়ারা নদীর পানি প্রত্যাহার। এ চুক্তির অধীনে ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ নদী কুশিয়ারা থেকে ১৫৩ কিউসেক পানি উত্তোলন করবে বাংলাদেশ।

গত ৬ সেপ্টেম্বর দিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউজে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে দুই দেশের কর্মকর্তারা সাতটি সমঝোতা স্মারকে সই করেন।

কুশিয়ারা নদীর পানি প্রত্যাহারে বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিটি সই করেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার। ভারতের পক্ষে চুক্তি সই করেন দেশটির জলশক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব পঙ্কজ কুমার।

সমঝোতা স্মারকে উভয়পক্ষ শুষ্ক মৌসুমে পানি প্রত্যাহার পর্যবেক্ষণের জন্য একটি যৌথ মনিটরিং টিম গঠন করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।

১৯৯৬ সালের গঙ্গা জল চুক্তির পর হওয়া এ চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ কুশিয়ারা নদী থেকে ১৫৩ কিউসেক (ঘনফুট প্রতি সেকেন্ড) পানি প্রত্যাহার করতে পারবে, যা সিলেটের কৃষকদের পানি সংকট দূর করবে। এই পানি সরবরাহ থেকে সিলেট অঞ্চলের অনেক এলাকা উপকৃত হবে। তবে সাধারণভাবে যা বোঝা যায় তাতে আনুমানিক ১০ হাজার হেক্টর জমি এবং লক্ষাধিক মানুষ এতে উপকৃত হবেন।

মূলত বাংলাদেশের প্রত্যাহার করা পানি সিলেটের খাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রবাহিত হবে এবং বোরো ধান চাষের সঙ্গে জড়িত কৃষকরা উপকৃত হবেন। এই ধান মূলত ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির শুষ্ক মৌসুমে চাষ করা হয়ে থাকে এবং গ্রীষ্মের শুরুতে কাটা হয়।

এনআই/এসএসএইচ