এমপিওভুক্ত শিক্ষায় বৈষম্য দূর করা, জাতীয়করণ এবং দুর্নীতি রোধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম (বাবেশিকফো)।

রোববার (২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ফোরাম  আয়োজিত ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষায় বৈষম্য দূরীকরণ ও শিক্ষার মানোন্নয়নের একমাত্র উপায় জাতীয়করণ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এই দাবি তুলে ধরা হয়। 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. একেএম শাহনেওয়াজ বলেন, না পেতে, না পেতে আমাদের চাহিদা কমে গেছে। অনেক সহজেই আমরা ব্যালেন্স করি। ব্যালেন্স করে কেন জাতীয়করণের দাবি জানাতে হচ্ছে? জাতীয়করণ করা সরকারের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। ঐক্যবদ্ধ একটি সংগঠন থেকে একসঙ্গে দাবি আদায়ের পরামর্শ দেন তিনি।

তিনি বলেন, আমাদের সরকারগুলো শিক্ষাবান্ধব নয়। ফলে জটিলতাগুলোর সমাধান হয় না। এছাড়া শিক্ষকদেরও অনেক সংগঠন। তাই শিক্ষকদেরকেও দাবি আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।  

লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. মাইন উদ্দিন বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে গেলেও বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীরা পূর্ণাঙ্গ সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। পাঠ্যক্রম, আইন এবং একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালিত হলেও সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে বিরাট পার্থক্য রয়েছে। 

তিনি বলেন, অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টের শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে প্রতি মাসে বেতনের ১০ শতাংশ হারে কেটে রাখলেও বৃদ্ধ বয়সে যথাসময়ে এ টাকা পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই। অনেক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারী টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা যান। এছাড়াও অধিকাংশ শিক্ষক নিজ জেলার বাইরে চাকরি করেন, তাদের জন্য বদলি ব্যবস্থা চালু করা জরুরি।  

সংগঠনের সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন বলেন, একটি বিষয় সুস্পষ্ট যে আজকে শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা হচ্ছে। সরকার যদি একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতো, সাংবিধানিকভাবে যে সিদ্ধান্ত রয়েছে, যে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সরকার বিনা বেতনে পড়াবে। সেই সিদ্ধান্তটা আজও বাস্তবায়ন হয়নি। মাধ্যমিক ডিজি আলাদা করে দিলে আমাদের আলাদা প্রতিনিধি থাকতো, তাহলে আমাদের জন্য খুব ভাল হতো।

আলোচনায় আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রফেসর ড. হোসনে আরা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তৌহিদ হাসান শিক্ষাবিদ ও গবেষক অধ্যক্ষ ড. মশিউর রহমান মৃধাসহ শিক্ষক নেতারা।

আইবি/জেডএস