জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের কারণে বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন চট্টগ্রামের মানুষজন। বাসা-বাড়ি, কল-কারখানা, হাসপাতালে বিদ্যুৎ নেই। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে,  চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে জেনারেটরের সাহায্যে চিকিৎসা ব্যবস্থা চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 

চট্টগ্রাম এনায়েত বাজার এলাকার বাসিন্দা পারুল আক্তার ঢাকা পোস্টকে বলেন, চট্টগ্রামে দুপুর থেকে বিদ্যুৎ নেই। আইপিএস দিয়ে কিছুক্ষণ চলছি। ৪টার থেকে সবকিছু বন্ধ। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। বাসায় মেহমান আছে। সন্ধ্যায় নাস্তা তৈরি করতে হবে। কিন্তু রান্না ঘর অন্ধকার। 

চট্টগ্রামের জুবলী রোডের টাইলস ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় অন্ধকারে আছি। বিকেলে পর অন্ধকার দেখে একজন কাস্টমারও আসেননি।

চমেক হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ছয়মাসের সন্তানকে নিয়ে থাকা ফাতেমা বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় শিশুটিকে নেবুলাইজ করতে পারছি না। তবে হাসপাতালে লাইট জ্বলছে।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেনারেটরের সাহায্যে সীমিত আকারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে। বিদ্যুৎ না থাকায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে কয়েকটি ওয়ার্ডে। হাসপাতালে এসি বন্ধ রয়েছে। সব ওয়ার্ডের ফ্যানও সচল নেই।

অর্থোপেডিক্স ওয়ার্ডে ভর্তি এক রোগীর স্বজন সানজিদা বলেন,  হাসপাতালের বাথরুমে পানি বন্ধ হয়ে গেছে। একদিকে পাখাও বন্ধ রয়েছে। 

জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, জেনারেটরের মাধ্যমে বিকল্প উপায়ে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছি। কাজ চালিয়ে নিচ্ছি। পর্যাপ্ত পরিমাণে তেল এনে রাখা হয়েছে।  কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। অস্ত্রোপচার কক্ষ, সিসিইউ, আইসিইউ চলছে। ওয়ার্ডে লাইট জ্বলছে। 

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সেখ ফজলে রাব্বি ঢাকা পোস্টকে বলেন, জেনারেল হাসপাতালেও জেনারেটের মাধ্যমে কাজ চালিয়ে নিচ্ছি।  

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, একটু সময় লাগবে। আমাদের চেষ্টা চলছে। পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। সাড়ে ৫টার দিকে পাওয়ার রিসিভ করছি। একবারে সবাইকে দিয়ে দেওয়া যাবে না। হয়তো আমাদের গ্রিডে বিভিন্ন জায়গায় পাওয়ার দিয়ে দিয়ে এটা স্ট্যাবল হলে আস্তে আস্তে পাওয়া যাবে। প্রথম সিস্টেমকে স্ট্যাবল করতে হবে। লোড একবারে বাড়ানো যাবে না। 

কেএম/এনএফ