বিদ্যুৎ সরবরাহের জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের কারণে মঙ্গলবার দুপুর ২টার পর বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে পুরো রাজধানীসহ দেশের বড় একটি অংশ। শুরুর দিকে বিষয়টিকে লোডশেডিং ভাবা হলেও পরে বোঝা যায় আসলে বিদ্যুৎ সরবরাহের জাতীয় গ্রিডে ট্রিপ বা বিপর্যয়ের কারণে দেশের অনেক এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।  

এই বিপর্যয়ের কারণে সন্ধ্যার পর আক্ষরিক অর্থেই অন্ধকার নেমে আসে ঢাকার পথে। অন্যান্য দিনে সড়কবাতির আলোয় পথঘাট ঝলমল করলেও আজকের সন্ধ্যা ছিল ভিন্ন। ঢাকা পোস্টের প্রতিবেদকরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে প্রত্যক্ষ করেছেন কেমন গেল বিদ্যুৎহীন এই সন্ধ্যা। তার কিছু চিত্র নিচের ছবিগুলোতে- 


সন্ধ্যার পর ফিলিং স্টেশনগুলোতে জেনারেটরের তেল কেনার জন্য ভিড় বাড়ে মানুষের। তেল সরবরাহ করতে হিমশিম খেতে হয় ফিলিং স্টেশনের কর্মচারীদের।  


বিদ্যুৎ কখন আসবে তা নিয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য ছিল না। ফলে মোমবাতি কিনতেও ভিড় করেন সাধারণ মানুষ। আর সেই সুযোগে ৫ টাকার মোমবাতি ২০ টাকাতেও বিক্রি করেছেন অনেক ব্যবসায়ী। 


বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে নানামুখী ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের। বিঘ্ন ঘটছে সিটিস্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষাতেও। বিশেষ ব্যবস্থায় চলেছে অপারেশন থিয়েটার (ওটি) ও আইসিইউ।  


রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনেও সেবা বিঘ্নিত হয়েছে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে। বিকল্পভাবে জেনারেটরের মাধ্যম বিদ্যুৎ সরবরাহ করে সেখানে টিকিট বিক্রির কাজ চলেছে। 


হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসি সীমিত করা হয়। বিপর্যয় শুরু হওয়ার আধা ঘণ্টার মতো ইমিগ্রেশেনে ধীরগতি ছিল। লাগেজ বেল্ট, চেক ইন কাউন্টার ও বোর্ডিং ব্রিজ জেনারেটরের মাধ্যমে স্বাভাবিক রাখা হয়।  


সন্ধ্যার পর দোকানগুলোতে অন্ধকার নেমে আসে। মোমবাতির আলোয় অনেক দোকানিকে বেচাবিক্রি চালাতে দেখা গেছে। 


বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে অনেক দোকান ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়ে।  


সন্ধ্যার পর ঢাকার অনেক সড়ক অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। রাস্তায় চলা গাড়িগুলোর আলোয় সড়কগুলোতে কিছুটা আলোর ঝলকানি দেখা গেলেও গাড়িগুলো চলে যেতেই আবার অন্ধকার নেমে আসে সড়কগুলোতে।   


বিদ্যুৎ না থাকায় পানি সঙ্কটে পুরান ঢাকার বিভিন্ন মোড়ে পানির পাম্পগুলোতে মানুষের ভিড় দেখা যায়। হাতে বোতল, কলসি, গ্যালন নিয়ে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরও পানি না পেয়েই আবার ফিরতে হয় তাদের। 

এনএফ