চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগে বাবা-মাসহ ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) পতেঙ্গা থানার নাজিরপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বুধবার (৫ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার। গ্রেপ্তার তিন জন হলেন— মো. মোদাসসির, তার বাবা রেজাউল করিম ও মা সাবিহা সুলতানা।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বলেন, অপহৃত ভিকটিম ১৫ বছর বয়সের কিশোরী। স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় ৯ম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত। আসামি মো. মোদাসসির বিভিন্ন সময়ে ভিকটিমকে মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিতেন এবং বিরক্ত করতেন। গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে ভিকটিম ঘর থেকে বের হয়ে উঠানে পায়চারি করার সময় মোদাসসির দুই-তিন জনের সহযোগিতায় কিশোরীকে অপহরণ করে নিয়ে যান। পরে এ ঘটনায় ভিকটিমের মা মোদাসসির এবং অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিন জনকে আসামি করে হাটহাজারী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন এবং র‌্যাবকে অবহিত করেন।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তের হার ১৮.১৮ শতাংশ

তিনি বলেন, পরে র‌্যাব অপহরণের সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) পতেঙ্গা থানার নাজিরপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে মো. মোদাসসিরসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করে। এসময় অপহৃত ভিকটিম কিশোরীকেও উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার মোদাসসির এবং তার বাবা-মা স্বীকার করেছেন গত ১৯ সেপ্টেম্বর ভিকটিমকে তারা অপহরণ করেছেন। গ্রেপ্তার এড়াতে কক্সবাজারের পেকুয়া এবং পরে চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করেছিলেন তারা।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরও জানান, গত ৩ আগস্ট তারা কক্সবাজার থেকে বাস যোগে নাজিরপাড়া এলাকায় একটি বাসায় আত্মগোপন করেন। ৪ অক্টোবর ওই বাসা থেকে অপহৃত ভিকটিমকে নিয়ে গাজীপুরের উদ্দেশে রওনা করার পরিকল্পনা করছিলেন।

কেএম/এসএসএইচ