বিআরটিএ এর অফিসগুলোকে দালালমুক্ত করার জন্য কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার। মঙ্গলবার ঢাকা পোস্টের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, বিআরটিএ এর অফিসগুলোকে দালালমুক্ত করার জন্য কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিআরটিএ অফিসকে দালালমুক্ত করার জন্য আমাদের ম্যাজিস্ট্রেটরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছেন। এসব অভিযানে দালালদের গ্রেফতারও করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমি গ্রাহকদের অনুরোধ করবো যেসব কাজ অনলাইনে হচ্ছে, সেগুলো আপনারা অনলাইনে করেন। তাহলে আপনাদের ভোগান্তি অনেক কম হবে। আর সেবাগুলো যদি অনলাইনে না নিয়ে আপনারা সার্কুলার অফিসগুলোতে নেন তাহলে অযথা ভিড় হবে। তাই ভিড় এড়িয়ে যাওয়ার জন্য সেবাগুলো আপনারা আনলাইনে নেন।

বিআরটিএ এর বিশেষ সপ্তাহ নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা থেকে বিশেষ এই সপ্তাহে গ্রাহকদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। এই সেবার মধ্যে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে মোটর সাইকেলের রেজিস্ট্রেশন দিচ্ছি, লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স তাৎক্ষণিকভাবে করে দিচ্ছি। গত অক্টোবর থেকে আমরা অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্টের মাধ্যমে ফিটনেস প্রদান করছি। অন স্পট কিভাবে ফিটনেস সার্টিফিকেটের আবেদনপত্র জমা দিতে হয় সে বিষয়ে সচেতনতা করছি আমরা।

তিনি আরও বলেন, আমরা অনলাইনের মাধ্যমে মোটরযান সংশ্লিষ্ট সকল ফি জমা নিচ্ছি। এতে করে গ্রাহকরা ঘরে বসে এসব ফি অনলাইনে জমা দিতে পারছেন। বাংলাদেশের জিপ, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারের সংখ্যা বেশি। তাই সার্কুলার অফিসগুলোতে ভিড় এড়ানোর জন্য আমরা এসব গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট মেয়াদ বাড়িয়ে দুই বছর করেছি। এ সার্টিফিকেট বাংলাদেশের যেকোনো সার্কুলার অফিস থেকে নেওয়া যাবে। বিআরটিএ এর সকল কার্যক্রম ডিজিটালাইজেশন করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

এমএসি/এনএফ