তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে ছেলে-মেয়ে সবাইকে নিয়েই কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরও দায়িত্ব রয়েছে।

সোমবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে গুলশানের একটি হোটেলে আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসকে সামনে রেখে সেভ দ্য চিলড্রেন আয়োজিত ‘রিডিফাইনিং গার্ল টক’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকের অনুষ্ঠান থেকে আমার চারটি উপলব্ধি হয়েছে। উপলব্ধিগুলো হলো— মেয়ে শিশুদের শিক্ষার সুযোগ তৈরি করা, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং পরিপূর্ণ মর্যাদা নিশ্চিত করা। এগুলো নিশ্চিতে আমি অবশ্যই কাজ করে যাব।

তিনি জানান, বিভিন্ন সংসদীয় আসনে স্কুল অব ফিউচার স্থাপন করা হয়েছে। শিগগিরই প্রধানমন্ত্রী এসব স্কুল উদ্বোধন করবেন। এমন ৩০০টি স্কুলে সেভ দ্য চিলড্রেনের সহায়তায় একটি করে শিশুদের সংগঠন গড়বে আইসিটি বিভাগ।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসে তাদের অধিকার সমুন্নত রাখার অঙ্গীকারনামায় সই করেন।  তিনি ছাড়াও এই অঙ্গীকারনামায় সই করেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

এবারের কন্যাশিশু দিবসের প্রতিপাদ্য– ‘সময়ের অঙ্গীকার, কন্যাশিশুর অধিকার’। কন্যাশিশুর দাবি ও অধিকার বোঝার এবং সে অনুযায়ী কাজ করার জন্য মেয়েদের এবং নীতিনির্ধারকদের মধ্যে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির সুবিধার্থে বিশ্বে দিনটি পালিত হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার জাভেদ প্যাটেল, সুইডেন দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন মারিয়া স্ট্রাইডসমেন, বাংলাদেশে ইউএনএফপিএর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ক্রিস্টিন ব্লখুস, ইউনিলিভার বাংলাদেশের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স প্রধান শামীমা আক্তার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. তানিয়া হকসহ আরও অনেকে।

টিআই/আরএইচ