ভোটকক্ষে ভোটারদের মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের (পরিচালনা-২ অধিশাখা) উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ইসি সূত্র জানায়, সম্প্রতি যেসব এলাকায় নির্বাচন হয়েছে, সেসব এলাকায় দেখা যায় ভোটাররা ভোট দেওয়ার সময় ছবি তুলছেন। এতে করে ভোটারদের যেমন গোপনীয়তা কমছে, তেমনি আইন লঙ্ঘন হচ্ছে। এজন্য ভোটারদের গোপনীয়তা রক্ষা ও নির্বিঘ্নে ভোটদান নিশ্চিত করতে এমন নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন। 

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ্য করা হয়েছে, ভোটারের প্রদত্ত গোপনীয়তা ভঙ্গ করা বা ভঙ্গ করার চেষ্টা অসদাচরণ ও দণ্ডনীয় অপরাধ। এরূপ বিধি বহির্ভূত কার্যক্রম বা অসদাচরণ প্রতিরোধে প্রিজাইডিং অফিসার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের করণীয় সম্পর্কে জেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ৩১ এ সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে। 

কোনো ব্যক্তি, তিনি যে কোনো পদ বা মর্যাদার অধিকারী হন না কেন, ভোটকেন্দ্রের গোপনীয় কক্ষে বা নিকটে অবৈধভাবে অবস্থান করে কোনো ভোটারের গোপনীয়ভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ বাধাগ্রস্ত করলে আইনানুযায়ী তাৎক্ষণিক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে।

এতে আরও উল্লেখ আছে, ভোটকক্ষে ভোটাররা যাতে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করতে না পারেন অথবা ভোটকক্ষে ভোটদান বিশেষ করে গোপনকক্ষে ভোটদানের ছবি তুলতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে। নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কোনো কারণে ব্যবস্থা নিতে অক্ষম হলে তাৎক্ষণিক নির্বাচন কমিশনকে সরাসরি অথবা রিটার্নিং অফিসার বা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা বা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে জানাতে হবে। 

আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগে গোপনীয়তা রক্ষার বিধান প্রতিপালনে প্রিজাইডিং অফিসার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তাসহ নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তাকে বিশেষভাবে যত্নবান হওয়ার জন্যও নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে পুনরায় বিশেষভাবে নির্দেশনা দিয়েছে। 

কোনো নির্বাচন কর্মকর্তা বর্ণিত দায়িত্ব গ্রহণে বা পালনে অপরাগতা বা অস্বীকৃতি প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত কমিটি প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, গাইবান্ধা ৫ উপনির্বাচনের অনিয়ম তদন্ত করে আগামী সাত দিনের মধ্যে একটি প্রতিবেদন দিতে একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পরে গাইবান্ধা ৫ আসনের পরবর্তী নির্বাচন বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

এসআর/আরএইচ