তিন দিনের সফর শেষে বন্দর সেরি বেগাওয়ানের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন ব্রুনাইয়ের সুলতান হাজী হাসানাল বলকিয়াহ মুইজ্জাদ্দীন ওয়াদ্দৌলাহ।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে সুলতানকে বহনকারী বিশেষ বিমান ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। 

বিমানবন্দরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ব্রুনাইয়ের সুলতানকে বিদায় জানান।

রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে শনিবার ঢাকায় আসেন সুলতান বলকিয়াহ। রাষ্ট্রপতি ব্রুনাইয়ের সুলতানকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান। সেখানে সুলতানকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। 

এরপর সুলতান সাভারে জাতীয় স্মৃতি সৌধে স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন সুলতানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ওইদিন সন্ধ্যায় সুলতান বঙ্গভবনের ক্রিডেনশিয়াল হলে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে সুলতান রাষ্ট্রপ্রধানের রাষ্ট্রীয় নৈশভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন।  

আরও পড়ুন : ব্রুনাইয়ের সুলতান হাজি বলকিয়াহ যেন স্বর্গরাজ্যের এক মালিক

বিমানবন্দরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ব্রুনাইয়ের সুলতানকে বিদায় জানান

সফরের দ্বিতীয় দিন রোববার সুলতান ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর বিকেল পৌনে ৪টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে শেখ হাসিনা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এরপর সরকার প্রধান ও সুলতান বেশ কিছুক্ষণ একান্তে বৈঠক করেন। পরে বাংলাদেশ ও ব্রুনাইয়ের মধ্যে প্রতিনিধি পর্যায়ের আনুষ্ঠানিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন, অন্যদিকে ব্রুনাইয়ের নেতৃত্ব দেন সুলতান।  

আরও পড়ুন : বাংলাদেশের সব প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছেন ব্রুনাইয়ের সুলতান

বৈঠক শেষে দুই নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ-ব্রুনাইয়ের মধ্যে একটি চুক্তি এবং তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। এগুলো হলো- বিমান চলাচল চুক্তি, বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, নাবিকদের  সনদ স্বীকৃতি সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক এবং দুদেশের মধ্যে গ্যাস ও অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্য সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক।

এনআই/এনএফ