ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, খালগুলো থেকে বর্জ্য অপসারণ এবং মশার কীটনাশক পরিবর্তনের কারণে আশা করা যায় আগামী দুই সপ্তাহ পর থেকে মশার এমন প্রাদুর্ভাব থাকবে না।

বুধবার (৩ মার্চ) পান্থকুঞ্জের পাশে নব নির্মিত অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের (এসটিএস) উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। মেয়র বলেন, এ কার্যক্রমগুলো চলমান থাকলে আগামী বছর থেকে কিউলেক্স মশা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

তিনি বলে, ওয়াসা থেকে যে খালগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে, সেগুলো আরও দুই মাস আগে পেলে আমরা আগে থেকেই বর্জ্য অপসারণ করা শুরু করতে পারতাম। তাহলে কিউলেক্স মশার উপদ্রব এখন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হতো।

মশা নিয়ন্ত্রণে আশা প্রকাশ করে তাপস বলেন, প্রতিদিন সকালে চার ঘণ্টা করে মশার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। বিকেলেরটার সময় আমরা আরও বৃদ্ধি করেছি। মশার ওষুধ পরিবর্তনের ফলে আমরা আশাবাদী যে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে আসবে।

মেয়র বলেন, শীত মৌসুম আসার সঙ্গে সঙ্গে ডেঙ্গুর প্রভাব কমে কিউলেক্স মশার প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। আমাদের মতামত বা পরামর্শে কিছুটা ঘাটতি ছিল। ডিসেম্বর থেকে ডেঙ্গু নিয়ে কাজ করায়, আমরা কিউলেক্স মশা নিয়ে সেভাবে কাজ করতে পারিনি। ডেঙ্গুর নিধনে যে ওষুধ কাজ করে, সেটা কিউলেক্স মশার জন্য কাজে আসে না। তাই আমরা আরেকটি উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। আমরা ওষুধটা পরিবর্তন করেছি।

তিনি আরও বলেন, এতদিন ঢাকার খালগুলো বদ্ধ থাকায় কিউলেক্স মশা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা খাল থেকে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিচালনা করছি। প্রায় ২০ কিলোমিটার খালের বর্জ্য, পলি মিলিয়ে ২ লাখ মেট্রিক টন অপসারণ করা হয়েছে।

সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ড. কবিরুল বাশারের এক গবেষণায় জানা গেছে, ঢাকায় গত বছরের এ সময়ের তুলনায় বর্তমানে মশার ঘনত্ব বেড়েছে চার গুণ। আর মশা নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়া না হলে আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত এ ঘনত্ব বেড়ে চরমে পৌঁছাবে। উত্তরা, খিলগাঁও, শনির-আখড়া, শাঁখারিবাজার, মোহাম্মদপুর ও পরীবাগসহ ছয়টি এলাকার নমুনা নিয়ে এ গবেষণা পরিচালনা করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলামসহ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

এএসএস/এমএইচএস