স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, অ্যানোফিলিস ও কিউলেক্স মশা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমরা সবাই মিলে এ সমস্যা থেকে নগরবাসীকে পরিত্রাণ দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। 

তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে জনসচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি ঢাকা শহরের খাল-নালা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে পারলে মশা থেকে নগরবাসীকে অনেকাংশে মুক্তি দেওয়া সম্ভব।

বুধবার (৩ মার্চ) পান্থকুঞ্জ সংলগ্ন নব নির্মিত অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের (এসটিএস) উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ওয়াসার কাছ থেকে খাল হস্তান্তরের পর থেকেই ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই দুই মেয়র খাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করেছেন। শুধু তাই নয় যারা এসব খাল দখল করে দুই পাশে ভবনসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করেছেন সেগুলো অপসারণ করছেন।

মন্ত্রী বলেন, নগরীর সব খাল রক্ষণাবেক্ষণ ও সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে দুই মেয়রকে নিয়ে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণে অনেকগুলো সভা করে কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হয়েছে। ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করার পাশাপাশি খালের দুই পাশে অবৈধভাবে যেসব অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে, সেগুলো উচ্ছেদ করা হবে।  

জলাবদ্ধতা নিরসন নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সবাইকে সঙ্গে নিয়ে যেভাবে কাজ করছে তাতে নগরীতে জলাবদ্ধতা অনেকাংশে কমে আসবে।
 
এর আগে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসকে নিয়ে সিটি করপোরেশনের অধীন নন্দীপাড়া ব্রিজ (জিরানী খাল), সুখ নগর ব্রিজ (খিলগাঁও-বাসাবো খাল, জিরানী খাল, মান্ডা খাল ও সেগুনবাগিচা খালের সংযোগস্থল), পাম্প স্টেশন, কমলাপুর (টিটিপাড়া)  বহির্গমন বিশ্বরোড কমলাপুর খাল, শ্যামপুর খাল এবং পান্থকুঞ্জ পার্ক বক্স কালভার্ট পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। এসময় স্থানীয় সরকার বিভাগ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ স্থানীয় কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
 
এএসএস/আরএইচ