মানবপাচার চক্রের সদস্য মুন্সি আব্দুল্লাহ আল জাকির

রাজধানীর শাজাহানপুর ও কদমতলী এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মানবপাচার চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

বুধবার (৩ মার্চ) সকালে র‌্যাব-৩ এর একটি দল সকাল সাড়ে ৭টায় শাজাহানপুর থেকে কানাডায় মানবপাচার চক্রের সদস্য মুন্সি আব্দুল্লাহ আল জাকিরকে (৪৯) গ্রেফতার করে। পৃথক অভিযানে র‌্যাব-১০ এর কদমতলীর শ্যামপুর বাজার এলাকা থেকে মানবপাচার চক্রের সদস্য মো. মুন্না (৪০), আনোয়ার হোসাইন (২৬) ও ইমরানকে (৩৩) গ্রেফতার করে। এ সময় একটি পাসপোর্ট, ৩টি মোবাইল ফোন, একটি ট্যাব জব্দ করা হয়।

মানবপাচার চক্রের সদস্য মো. মুন্না, আনোয়ার হোসাইন ও ইমরান

র‌্যাব-৩ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার ফারজানা হক জানান, মোহাম্মদ জুলহাস (৩৮) নামে একজন লিখিত অভিযোগ করেন যে, কতিপয় মানবপাচারকারী তাকে প্রলোভন দেখিয়ে কানাডা নেওয়ার কথা বলে ভিয়েতনামে নিয়ে দালালের কাছে বিক্রি করে দেয়। ভিয়েতনামে নেওয়ার আগে তাকে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সে করে নেওয়া হয় মালয়েশিয়ায়। ভিয়েতনামে বিক্রির পর তাকে বন্দি করে রাখা হয়। বন্দি অবস্থা থেকে কৌশলে পালিয়ে তিনি দেশে ফিরে আসেন। 

তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে র‌্যাব-৩ এর একটি দল মানবপাচার চক্রের সদস্য জাকিরকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাকির জানান, মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশ যেতে ইচ্ছুক জনসাধারণকে তিনি ভিয়েতনামে পাচার করেন। এছাড়া ভিয়েতনামে নিয়ে ভিকটিমদের আটকে রেখে তাদের পরিবারকে ভয়-ভীতি দেখিয়েও অর্থ আদায় করে থাকেন। জাকিরের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

অন্যদিকে র‍্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি এনায়েত কবির বলেন, রাজধানীর কদমতলীতে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য মুন্না, আনোয়ার ও ইমরান প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তারা পেশাদার নারী ও শিশু পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। দীর্ঘদিন ধরে সংঘবদ্ধ ও প্রতারণামূলকভাবে অবৈধ পথে পতিতাবৃত্তি ও যৌন কাজে নিয়োজিত করার উদ্দেশ্যে নারী ও শিশুদের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন দেশে পাচার করে আসছিলেন তারা। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানায় মানবপাচার আইনে নতুন করে মামলা হয়েছে।

জেইউ/এইচকে