ঢাকায় শুরু হচ্ছে ১১ দিনব্যাপী ‘গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব।’ আগামীকাল শুক্রবার শুরু হয়ে এ অনুষ্ঠান চলবে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। এবারের উৎসবে বাংলাদেশ ও ভারতের ১২২টি সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রায় ৪ হাজার শিল্পী অংশগ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন উৎসবের আয়োজকরা। 

গতকাল শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে উৎসব সম্পর্কে জানানো হয়। 

উগ্র মৌলবাদ, সামাজিক কূপমণ্ডূকতার বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক জাগরণের লক্ষ্যে দশমবারের মতো এ উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে উৎসবের উদ্বোধন করবেন মঞ্চসারথি আতাউর রহমান। প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। ওয়ার্দা রিহাবের পরিচালনায় উদ্বোধনী নৃত্য পরিবেশন করবে নর্তনালয়। এছাড়া উদ্বোধনী পর্বে সম্মানীত অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখবেন রামেন্দু মজুমদার, আসাদুজ্জামান নূর, মামুনুর রশীদ, নাসিরউদ্দীন ইউসুফ, লিয়াকত আলী লাকী, মো. আহ্কাম উল্লাহ ও আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ্ আলম সারোয়ার।

২১ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত আয়োজিত গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসবের ভেন্যু হিসাবে রয়েছে : বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলাদেশ মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তন, পরীক্ষণ থিয়েটার হল, স্টুডিও থিয়েটার হল, সঙ্গীত আবৃত্তি ও নৃত্য মিলনায়তন। নাটক, কবিতা, নাচ, গান, আবৃত্তিতে চার হাজার শিল্পী অংশ নেবেন। উদ্বোধনী সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে মঞ্চস্থ হবে থিয়েটার প্রযোজনা নাটক ‘পোহালে শর্বরী’। এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হবে বাংলাদেশ পুলিশ থিয়েটার প্রযোজনা ‘অভিশপ্ত আগস্ট’; স্টুডিও থিয়েটার হলে মানিকগঞ্জের নিরাভরণ থিয়েটারের প্রযোজনা ‘জুঁইমালার সইমালা’। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত অভিনেতা গৌতম হালদার গঙ্গা-যমুনা নাট্যোৎসবে অংশ নেবেন। এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে ২৭ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের নয়ে নাটুয়া প্রযোজিত ‘মরমিয়া মন’ নাটকে তিনি পারফর্ম করবেন। ২৮ অক্টোবর জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে গৌতম হালদার অভিনীত ‘নকশি কাঁথার মাঠ’ এবং ২৯ অক্টোবর ‘বড়দা বড়দা’ মঞ্চস্থ হবে।

এনএফ