ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষ। এ সব মানুষকে উপকূলীয় অঞ্চল থেকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরসহ সব ধরনের সহায়তা কার্যক্রমে সরকারের পাশাপাশি কাজ করছেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ১ হাজার ২০০ স্বেচ্ছাসেবক।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) রেড ক্রিসেন্ট থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংস্থাটি জানায়, এরই মধ্যে সোসাইটির ৬৫টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ অন্যান্য আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ঝড়ের কবলে পড়া মানুষজন। সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সুবিধা প্রদানে ২০টি আশ্রয়কেন্দ্রে সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছে সোসাইটি। এছাড়াও আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ত্রাণ সহায়তা দিতে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে।

রেড ক্রিসেন্ট বলছে, সমুদ্রবন্দরগুলোতে বিপদ সংকেত ও সতর্ক বার্তা প্রচারে সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গেও কাজ করছেন সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকরা। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালে বাংলাদেশে সিত্রাং আঘাত হানতে পারে এমন আশঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে বিপদগ্রস্ত মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে মাইকিং করছেন তারা। 

সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আবদুল ওয়াহ্‌হাব বলেন, আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে ঝুঁকিপূর্ণ লাখ লাখ মানুষের মানবিক সহায়তার ভীষণ প্রয়োজন। এমন পরিস্থিতিতে সব ধরনের জরুরি সহায়তা দিতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকরা সদা প্রস্তুত রয়েছেন।

এদিকে সিত্রাংয়ের প্রভাবে বিপদগ্রস্ত মানুষের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণে জরুরি ভিত্তিতে প্রায় ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছে রেড ক্রিসেন্ট। প্রস্তুত রাখা হয়েছে মেডিকেল টিমের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স। এছাড়া তারপলিন, জেরিকেন, স্লিপিং ম্যাট, বালতি, হাইজিন কিটসহ অন্যান্য সামগ্রী মজুত রেখেছে সোসাইটি, যা প্রয়োজনে বিতরণ করা হবে। 

বিডিআরসিএসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জাতীয় সদর দপ্তর থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত কর্মস্থলে থাকতে বলা হয়েছে। 

এনআই/এসকেডি