ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সারাদেশে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে, গতি বেড়েছে বাতাসের। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, সারাদেশে ঢাকার ১৩টি স্থানসহ সারাদেশে ৩০টি স্থানে ঝড়ে গাছ পড়ে সড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়।

সোমবার রাতে এক বার্তায় ফায়ার সার্ভিস জানায়, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের উপকূলীয় এলাকার সকল ফায়ার স্টেশনকে স্ট্যান্ডবাই ডিউটি দেওয়া হয়েছে। উপ-পরিচালক (অপারেশন্স ও মেইন্টেইনেন্স) কামাল উদ্দীন ভূঁইয়া’র নেতৃত্বে কেন্দ্রীয়ভাবে খোলা হয়েছে ‌‘ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মনিটরিং সেল।’

এ পর্যন্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ১৩টি স্থানসহ সারা দেশে প্রায় ৩০টি স্থানে ঝড়ে ভেঙে পড়া গাছ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা অপসারণ করেছেন। এছাড়া বরিশাল সদর ফায়ার স্টেশন কর্তৃক ১ জন ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত সাহায্যের জন্য মনিটরিং সেলের নম্বরগুলোতে যেকোনো সময় ফোন করা যাবে। হটলাইন: ১৬১৬৩, টেলিফোন: ০২-২২৩৩৫৫৫৫৫, মোবাইল: ০১৭৩০-৩৩৬৬৯৯। এছাড়া কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষসহ সকল বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নিয়মিত ফোন নম্বরগুলোও সচল রয়েছে। 

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যার পর খেপুপাড়া, ভোলা, বরিশাল উপকূলে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের অগ্রভাগ আঘাত হেনেছে। ভোরের মধ্যেই বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করবে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। তবে মধ্যরাতের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি সম্পূর্ণ শক্তি নিয়ে ভোলা জেলার পাশ দিয়ে বরিশাল ও চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করবে। 

এআর/এসকেডি