ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রতিটি ঘাঁটিতে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে। এ ছাড়া বিমান বাহিনী প্রধানের নির্দেশনায় বাহিনীর সব সদস্য ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী যেকোনো দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং জনসাধারণের সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছেন।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং বাংলাদেশ উপকূলবর্তী এলাকায় আঘাত হানতে শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলবর্তী এলাকায় আঘাত হেনে দেশের উত্তরাংশ অতিক্রম করবে বলে জানা যায়।  ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং পরবর্তী যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় তথা ত্রাণ সরবরাহ, চিকিৎসা প্রদান, দুর্যোগ কবলিত মানুষকে সহায়তা প্রদান এবং যাবতীয় উদ্ধার কাজে সহায়তা প্রদান করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পর্যাপ্ত পরিমাণ বিভিন্ন বিমান ও হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

সার্বক্ষণিক দুর্যোগ মোকাবিলার এবং তদসম্পর্কিত যেকোনো তথ্য সংগ্রহ ও সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করার লক্ষ্যে বিমান বাহিনীর তত্ত্বাবধানে বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশারে একটি কেন্দ্রীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। দ্রুত ও নির্বিঘ্ন যোগাযোগের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রে দিন রাত ২৪ ঘণ্টা বিমান বাহিনীর সদস্যরা কর্তব্য পালন করছেন।

কেন্দ্রীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র ছাড়াও বিমান বাহিনীর প্রতিটি ঘাঁটিতে নিজ নিজ এলাকার দুর্যোগ মোকাবিলার লক্ষ্যে আলাদা আলাদা নিয়ন্ত্রণকক্ষ চালু করা হয়েছে।

এমএসি/আরএইচ