ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় ছোট-বড় অন্তত শতাধিক গাছ ভেঙে পড়েছিল। সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাত থেকে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রায় সব গাছ সরিয়ে নিলেও ৪/৫টি বড় গাছ  সরাতে পারেনি সংস্থাটি। 

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গাছগুলো সরাতে সংস্থাটি কাজ করে যাচ্ছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন আঞ্চলিক কার্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অঞ্চল-১ এর ধানমন্ডিতে ১০টি, আইইবি, মৎস্য ভবন, টিএসসি, সার্কিট হাউজ রোড এলাকায় ১০টি, অঞ্চল-২ এর শান্তিনগর, চানমারি মোড় ও আইডিয়াল স্কুল সংলগ্ন এলাকায় ৪টি, অঞ্চল-৩ এর নিলক্ষেত, বুয়েটের ভেতরে, বকশিবাজার বশিরউদ্দিন পার্ক ও আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় ৪টি এবং অঞ্চল-৫ এর মানিকনগর ভুতের বাড়ি রেস্টুরেন্ট, সায়েদাবাদ ওয়ান্ডার ল্যান্ড পার্ক ও দয়াগঞ্জ এলাকায় ৪টি বড় গাছ ভেঙে পড়ে। সেগুলোর বেশিরভাগই সরিয়ে নিয়েছে তারা।

এছাড়াও অঞ্চল-১ এ ২৪টি, অঞ্চল-২ ও ৬ এ ৪০টি, অঞ্চল-৪ ও ১০ এ ৬/৭টি, অঞ্চল-৫, ৭, ৯ এলাকার জুরাইন কবরস্থানে ৬টিসহ কমবেশি ১৫টি মাঝারি ও ছোট আকারের গাছ ভেঙে ও উপড়ে পড়েছে। এসব এলাকায় ৪/৫টি বড় গাছ ছাড়া সব গাছ সরানো হয়েছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের জানিয়েছেন, ধানমন্ডি-৩ এলাকায় ভেঙে পড়া ২টি বড় গাছ কাটা ও সরানোর জন্য দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মোহাম্মদপুর অফিসকে সহযোগিতার জন্য বারবার অনুরোধ করা হলেও এখনো কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। এরইমধ্যে করপোরেশন সেখান থেকে একটি বড় গাছ সরানো হয়েছে। বাকি গাছটি সরানোর জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ধানমন্ডি-৩ এ গাছ কাটা ও সরানোয় কাজে উপস্থিত হয়ে নির্দেশনা দিচ্ছেন অঞ্চল-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মিঠুন চন্দ্র শীল। তিনি বলেন, কিছু সময়ের মধ্যে বাকি গাছগুলো সরানোর কাজ শেষ করতে পারবো।

অন্যদিকে জলাবদ্ধতা নিরসন কাজের বিষয়ে ডিএসসিসির আবু নাছের জানান, গ্রিন রোড, নবীনবাগ তিতাস রোড, মুগদা মেডিকেলের সামনে ও মুগদা প্রধান সড়ক, শাহজাহানপুর বেনজির বাগান এলাকা, শহীদবাগ, পল্টন ভিআইপি রোড, আইজি প্রিজন রোড, জয়নব রোড, সুরিটোলা স্কুল, সিক্কাটুলি পার্ক, বংশাল, কমলাপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকা, শ্যামপুর, রাজারবাগ গ্রিন লাইন কাউন্টার সংলগ্ন এলাকাসহ ১৮/১৯টি স্পটে জলজট সৃষ্টি হলেও বৃষ্টি থামার পর সেসব এলাকা থেকে পানি সরে গেছে।

তিনি আরও বলেন, তবে গ্রিন রোডের জলজট নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানিয়েছেন- হাতিরঝিল আউটলেট খুলে দিতে বারবার অনুরোধ করা হলেও রাজউকের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ১ ঘণ্টা দেরিতে গেট খোলেন। ফলে বৃষ্টির পানি সেখানে জলজট সৃষ্টি করে। এতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় কিছুটা ভোগান্তি হলেও বৃষ্টি থামার ঘণ্টা খানেকের মধ্যে পানি সরে যায়।

এএসএস/জেডএস