ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাজ করছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। হেলিকপ্টারের মাধ্যমে বিমান বাহিনী এ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষে থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

আইএসপিআর জানায়, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলবর্তী এলাকায় সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাতে আঘাত হানে। এটি দেশের উত্তরাংশ অতিক্রম করে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ভোরের আগে দুর্বল হয়ে পড়ে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সোমবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে কক্সবাজারের সমিতিপাড়া, কুতুবদিয়া পাড়া, চরপাড়া, পদনার ডেইলসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করলে ৮৪০ জন স্থানীয় বাসিন্দাকে বিমান বাহিনী ঘাঁটি কক্সবাজারে আশ্রয় দেওয়া হয়। 

ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী কার্যক্রমে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী সাড়া দিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য মঙ্গলবার ভোর থেকে বিমান বাহিনীর ২টি হেলিকপ্টার ঢাকা ও যশোর থেকে আকাশে উড্ডয়ন করে। হেলিকপ্টার দুটি বাংলাদেশের দক্ষিণ, দক্ষিণপূর্ব ও দক্ষিণ পশ্চিম এলাকার উপর উড্ডয়ন করে মানুষ ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির স্থির চিত্র ও ভিডিও ধারণ করে।

আইএসপিআর আরও জানায়, ধারণ করা ছবি ও ভিডিও যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত হস্তান্তরের মাধ্যমে ওইসব এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রকৃত প্রভাব সম্পর্কে যথাযথ ধারণা প্রদান করা হয়েছে। যার মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভব হবে।

পরবর্তীতে বিমান বাহিনীর আরও ১টি হেলিকপ্টার আইএসপিআর প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে উপদ্রুত এলাকায় আকাশ থেকে পর্যবেক্ষণ সম্পন্ন করে। এতে করে জাতীয় গণমাধ্যম ঘূর্ণিঝড়ের প্রকৃত চিত্র সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পেরেছে।

এমএসি/এসকেডি