চট্টগ্রাম সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম নগরকে নান্দনিক, বসবাস উপযোগী, গ্রিন সিটি হিসেবে রূপান্তর করতে হলে পর্যায়ক্রমে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ও আধুনিকায়নের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উন্নত ও উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের মডেল অনুসরণ করতে হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নে আউটসোর্সিংয়ের বিকল্প নেই।

আজ মঙ্গলবার সকালে বাটালি হিলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অস্থায়ী নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র বলেন, ইতোমধ্যে জাপানের জাইকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার কোইকা কর্তৃক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাইপূর্বক কিছু প্রস্তাবনা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে দেওয়া হয়েছে। এরই আলোকে মেডিকেল বর্জ্য অপসারণ করার জন্য হালিশহরের আনন্দবাজারে ইনসিনেরেটর প্লান্ট স্থাপন করা হয়। জাইকা তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ইনসিনেরেটর (চুল্লী) স্থাপন করছে। এ ইনসিনেরেটর প্ল্যান্টের মাধ্যমে বিষাক্ত মেডিকেল বর্জ্য পুড়িয়ে ফেলার মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ থেকে রক্ষার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।  

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আইনে উৎপন্ন বর্জ্য উৎপত্তিস্থল থেকে গৃহস্থালী, প্লাস্টিক, ধাতব এ তিন ভাগে করে অপসারণ করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশনে এই নির্দেশনা পালন করা হচ্ছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় মনে করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও আধুনিকীকরণে আউটসোর্সিং-এর কোনো বিকল্প  নেই। বাস্তবতার নিরিখে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কপোরেশন ২৪ ও ৭ নং ওয়ার্ডকে পরীক্ষামূলকভাবে আউটসোর্সিং-এর আওতায় আনার প্রক্রিয়া গ্রহণ করছে। পর্যায়ক্রমে ৪১ টি ওয়ার্ডে আউটসোর্সিং পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান তিনি। 

তিনি বলেন, সমন্বয় ফোরামের নেতাদের সাথে আউটসোসিং-এর মাধ্যমে বর্জ্য অপসারণের বিষয়ে যে মত বিনিময় হয়েছে তা ফলপ্রসূ। তবে কোনো কিছু জোর করে চাপিয়ে দেয়ার কোনো অবকাশ থাকতে পারে না। কোনো পরিবর্তন রাতারাতি আনা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা ছাড়া কোনো পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। 

মেয়র আরও বলেন, এ নগরের মালিক হচ্ছে নগরবাসী। নগরবাসীর মতামতের প্রতিফলন ঘটানোই মেয়রের প্রধান দায়িত্ব, পাশাপাশি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা প্রতিপালন করা আমাদের কর্তব্য।  

এনএফ