মিরসরাইয়ে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং- এর প্রভাবে সাগরের তলিয়ে যাওয়া বালু উত্তোলনকারী ড্রেজারের নিচে চাপা পড়া আরও এক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টায় মরদেহটি উদ্ধার করে কোস্টগার্ডের সদস্যরা।  

উদ্ধার হওয়া শ্রমিক মোহাম্মদ আলম সরদার (৪০) পটুয়াখালী সদরের জৈনকাঠি ইউনিয়নের নুরু সর্দারের ছেলে। এ নিয়ে মোট ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে আরও ৩ শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার

বিষয়টি  ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন। তিনি বলেন, আমরা সকাল থেকে একটানা উদ্ধার কাজ চালিয়ে চারজনের মরদেহ  উদ্ধার  করতে সক্ষম হয়েছি। পানির স্রোত এবং বালির স্তূপ বেশি হওয়ায় মরদেহগুলো উদ্ধার করতে সময় লাগছে। আপাতত উদ্ধার কাজ বন্ধ রয়েছে। আগামীকাল সকাল সাড়ে ৬টা থেকে আবার উদ্ধার অভিযান শুরু করা হবে। ড্রেজাটিতে আরও তিনজনের মরদেহ বালি চাপা পড়ে আছে।   

তিনি আরও জানান, পুলিশি কার্যক্রম সম্পন্ন করে চারজনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের আত্মীয়স্বজন ইতোমধ্যে মরদেহ নিয়ে পটুয়াখালী চলে গেছে। সর্বশেষ উদ্ধার হওয়া আলম সরদারের মরদেহ সব কার্যক্রম শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর  করা হবে।  

এর আগে বুধবার সকালে সাড়ে ১০টায় ইমাম মোল্লা (২৫), মাহমুদ মোল্লা (২২) এবং জাহিদুল ইসলাম (২৫) এবং  মঙ্গলবার রাতে আল-আমিন( ২০) এর মরদেহ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
 
এখনও যাদের মরদেহ উদ্ধার করা যায়নি তারা হলেন আনিছ মোল্লার ছেলে শাহীন মোল্লা (৩৮),  রহমান খানের ছেলে তারেক (২০) এবং  ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে বশর হাওলাদার (৩৫)। তাদের সবার বাড়ি পটুয়াখালীর জৈনকাঠি ইউনিয়নে। 

প্রসঙ্গত, সোমবার (২৪ অক্টোবর) দিবাগতে রাতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং- এর প্রভাবে সাগরে জোয়ারের পানির উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে বালু উত্তোলনের ড্রেজারটি  ৮ জন শ্রমিকসহ ডুবে যায় যায়। জানা যায়, উপজেলার ১৬ নম্বর সাহেরখালি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ৩ নম্বর বসুন্ধরা এলাকায় বেড়িবাঁধ থেকে ১০০০ ফুট দূরত্বে সাগরের মাঝে রাখা বালু উত্তোলনের ড্রেজারটি (সৈকত-২) রাখা ছিলে। পরে মঙ্গলবার বেলা ১২টার থেকে প্রবল স্রোত ডিঙ্গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। 

সাইফুল ইসলাম/এমএ