জাপানের কোবে বন্দরে জাহাজে তোলা হচ্ছে মেট্রোরেলের ট্রেন সেট | ছবি- ডিএমটিসিএল

রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের জন্য একটি ট্রেন সেট জাপানের কোবে বন্দর থেকে বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় জাহাজে করে রওনা দিয়েছে। একে একে প্রথম ধাপে পাঁচটি ট্রেন আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ঢাকায় এসে পৌঁছাবে।

জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) ও  ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ডিএমটিসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, জাপান থেকে প্রথম ট্রেন সেটটি রওনা দিয়েছে। এটি প্রথমে মোংলা বন্দরে আসবে। পরে ঢাকায় প্রকল্পের উত্তরা ডিপোয় আনা হবে। এখন আমাদের ব্যস্ততায় সময় কাটছে। নির্ধারিত সময়ে দেশের প্রথম মেট্রোরেলে ট্রেন চলাচল শুরু করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

মেট্রোরেলের ট্রেন সেট বৃহস্পতিবার জাপানের কোবে বন্দরে জাহাজে তোলা হয় | ছবি- ডিএমটিসিএল

দেশে মেট্রোরেলের সেটগুলো আনার আগে সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ডিএমটিসিএলের একটি বিশেষজ্ঞ দলের জাপান যাওয়ার কথা ছিল। করোনা পরিস্থিতির ফলে জাপান ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ কারণে ট্রেনগুলো জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়েছে ডিএমটিসিএল।  

প্রকল্প সূত্র জানিয়েছে, মেট্রোরেল প্রকল্পের জন্য ২৪ সেট ট্রেন তৈরি করছে জাপান। প্রতি সেট ট্রেনের দুপাশে দুটো ইঞ্জিন থাকছে। আর মধ্যে থাকবে চারটি করে কোচ।

দ্বিতীয় সেট ট্রেনটি জাপান থেকে ১৫ এপ্রিল রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে। এটি ঢাকায় পৌঁছাতে পারে ১৬ জুন। তৃতীয় ট্রেনটি ১৩ জুন রওনা দিয়ে ১৩ আগস্ট ঢাকায় পৌঁছানোর কথা। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হবে দ্রুত। এরইমধ্যে প্রকল্প এলাকায় পাঁচটি রেলস্টেশন প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।

মেট্রোরেলের ট্রেন সেট জাপানের কোবে বন্দর থেকে বৃহস্পতিবার জাহাজে করে রওনা দেয় | ছবি- ডিএমটিসিএল

জাপানের কাওয়াসাকি-মিতসুবিশি ট্রেনগুলো তৈরি করেছে। একেকটি ট্রেনের দাম পড়ছে ৩ হাজার ২০৮ কোটি ৪২ লাখ টাকা করে। শুল্ক ও ভ্যাট মিলিয়ে এসব ট্রেন বাংলাদেশে আসার পর মোট খরচ পড়বে ৪ হাজার ২৫৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা করে।

ট্রেনগুলোয় ডিসি ১৫০০ ভোল্ট বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা থাকবে। স্টেইনলেস স্টিল বডির ট্রেনগুলোয় থাকবে লম্বালম্বি সিট। প্রতিটি ট্রেনে থাকবে দুটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রতিটি বগির দুপাশে থাকবে চারটি করে দরজা। জাপানি স্ট্যান্ডার্ডের নিরাপত্তাব্যবস্থা সংবলিত প্রতিটি ট্রেনের যাত্রী ধারণক্ষমতা হবে এক হাজার ৭৩৮ জন। মেট্রো রেলপথটি হবে উড়াল রেলপথ। প্রায় ২০ কিলোমিটার রেলপথটি পরে কমলাপুর পর্যন্ত বর্ধিত হবে। 

পিএসডি/আরএইচ /এমএমজে