আগামী ১ নভেম্বর থেকে ডিএনসিসির প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩০ দিনের বিশেষ মশা নিধন কর্মসূচি পরিচালনা করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা মাঠে থাকবেন। পুরো মাসজুড়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে মশা নিধনে কাজ করবে। অসময়ে ঝড় বৃষ্টির ফলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর, ২০২২) গুলশান-২ ডিএনসিসি নগর ভবনের হল রুমে ২য় পরিষদের ১৭তম করপোরেশন সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের মাঠে কাজ করতে হবে। মশার প্রজননক্ষেত্র খুঁজে বের করে ধ্বংস করতে হবে। নগরবাসীকে সচেতন করতে হবে। এডিসের পাশাপাশি কিউলেক্স মশাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। কোথাও পানি বা ময়লা জমতে দেওয়া যাবে না। ময়লা বা পানি জমে থাকলে অথবা এডিসের লার্ভার উৎস পেলে কাউন্সিলররা ছবি তুলে লোকেশন উল্লেখ করে ডিএনসিসির অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপে শেয়ার করবেন। ছবি ও লোকেশন দেখে সংশ্লিষ্ট বিভাগ সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিবে।

এছাড়াও ফুটপাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাউন্সিলরদের জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে নির্দেশ দিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরের মতো স্মার্ট হকার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সমগ্র ডিএনসিসি এলাকায় চালু করা হবে। সপ্তাহে পাঁচ দিন নির্দিষ্ট হকাররা বিকেল ৪টার পর থেকে ফুটপাতে বসবে। অন্য সময় ফুটপাতে কোন হকার বসতে পারবে না। ফুটপাতে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে কাউন্সিলরদের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।

আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, নগরে বিভিন্ন এলাকায় ছোট বড় অসংখ্য হাট-বাজার গড়ে উঠেছে। এসব হাট-বাজারগুলোর অনুমোদন নেই। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় বেসরকারি বা ব্যক্তিগত উদ্যোগে পরিচালিত বাজারগুলো ডিএনসিসি অধিগ্রহণ করে পরিচালনা করবে।  

নগরের খালগুলো রক্ষায় নগরবাসীকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, খালগুলো সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তরের পর থেকে আমরা সেগুলো উদ্ধারের কাজ করে যাচ্ছি। খালগুলো উদ্ধার করতে গিয়ে আমরা দেখেছি, বিভিন্ন বাসা-বাড়ি ও অন্যান্য ভবনের পয়ঃবর্জ্য নিষ্কাশনের সংযোগ লাইন সরাসরি সার্ফেস ড্রেন ও খালে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে খালগুলো দূষিত হচ্ছে। খালগুলো পরিচ্ছন্ন রাখতে হলে প্রতিটি বাসা-বাড়িতে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে।  

সভায় ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এএসএস/এসকেডি