ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, অনেক দেশে উন্নত পুলিশিং ব্যবস্থা থাকার পরও জঙ্গিবাদ দমনে সফল হতে পারছে না। তবে বাংলাদেশ এক্ষেত্রে সফল। জঙ্গিবাদ আর আগের মতো মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। যদিও জঙ্গিবাদের চর্চা বিভিন্ন কারণে দেশে পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর দেড়টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ‘কমিশনার’স মিট দ্য প্রেস’ এ এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

আরও পড়ুন: রাজনীতিতে নাক গলানো পুলিশের কাজ নয়

তিনি বলেন, জনগণ ও পুলিশি অ্যাকশনের কারণে জঙ্গিবাদ কখনো কখনো শান্ত হয়ে যায়। আবার কিছু দিন পর আবার জঙ্গিবাদ চর্চা শুরু হয়। আমাদের সাইবার ওয়ার্ল্ডে মনিটরিং চলছে। আমাদের বাসাভাড়া নিয়ে তথ্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ভাড়াটিয়া তথ্যের ভিত্তিতেই জঙ্গিদের আমরা শনাক্ত ও আইনের আওতায় নিয়ে আসছি।

তিনি বলেন, কোনো জঙ্গি নিজের বাসায় থাকেন না। তারা ভাড়া বাসায় থাকেন। সেজন্য আমরা ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহ করছি। আমার বিশ্বাস বাংলাদেশের মানুষ, পুলিশ ও গণমাধ্যমের সহযোগিতায় জঙ্গিবাদ বন্ধ করা সম্ভব। জঙ্গিবাদ আর আগের মতো মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না।

পুলিশ ও সাংবাদিক একে অপরের বন্ধু ও পরিপূরক দাবি করে নবনিযুক্ত কমিশনার বলেন, সত্যের সন্ধানে কাজ করে পুলিশ ও সাংবাদিক। জঙ্গিবাদ বলেন আর সন্ত্রাসবাদ বলেন, তথ্য আদান-প্রদান পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া, পারস্পরিক শ্রদ্ধা-সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা যেকোনো সমস্যা মোকাবিলা করতে পারব। ভবিষ্যতে আশবাদী সবার সহযোগিতায় দুই কোটির নগরবাসীকে নিরাপত্তা দিতে পারব।

ডিএমপির ৪৭ বছরের ঐতিহ্যকে ধারণ করে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে ডিএমপির এ নতুন কমিশনার বলেন, দেশপ্রেম, পেশাদারিত্ব ও সততা-নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ। জনমুখী পুলিশি সেবা নিশ্চিতকরণ, সমসাময়িক অপরাধের গতিপ্রকৃতি পরিবর্তনের কারণে বিশেষ করে সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। ডিএমপিকে নিরাপদ ও জনগণের আস্থা রক্ষায় সর্বোচ্চ প্রয়াস থাকবে।

সবারই সহযোগিতা পেলে ঢাকাকে নিরাপদ নগরীতে পরিণত করা সম্ভব বলে দাবি করেন তিনি।

জেইউ/এমএ