বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) থেকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ঋণ নিলে এবং প্লট বরাদ্দ নিয়ে তা বিক্রি বা ভাড়া দিলে শাস্তির বিধান রেখে আইন করছে সরকার।

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এ সংক্রান্ত ‘বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন বিল ২০২২’ জাতীয় সংসদে তোলেন। বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। ১৯৫৭ সালের বাংলাদেশ স্মল অ্যান্ড কটেজ ইন্ড্রাস্ট্রিজ করপোরেশন অ্যাক্ট রহিত করে এই আইনটি করা হচ্ছে।

বিলে বলা হয়েছে, করপোরেশন শিল্প ক্ষেত্রে নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও তাদের সুরক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে। বিলে অতিক্ষুদ্র শিল্প, কুটির শিল্প, ক্ষুদ্র শিল্প, মাঝারি শিল্প, শিল্পপার্ক বা শিল্পনগরী এবং হস্ত ও কারুশিল্পের সংজ্ঞা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

বিলে আরও বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি করপোরেশন থেকে ঋণ বা অন্য কোনো সুবিধা পাওয়ার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা তথ্য দেন বা জ্ঞাতসারে মিথ্যা বিবরণী ব্যবহার করেন বা করপোরেশনকে কোনো প্রকারে মিথ্যা প্রতিবেদন গ্রহণ করতে প্ররোচনা দেন তাহলে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

এছাড়া বিলে আরও বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি করপোরেশনের কাছ থেকে শিল্পপার্ক বা শিল্পনগরীতে কোনো প্লট বরাদ্দ পেয়ে যদি ওই প্লট বা তার অংশবিশেষ অবৈধভাবে হস্তান্তর বা ভাড়া দেন বা শিল্প কারখানা ছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করেন তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এর দণ্ড সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই আইনটি বিসিকের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

এসআর/এনএফ